ভোট ঘোষণার আগে মমতার বাড়িতে যজ্ঞে বসেছেন অভিষেক, পুজো করছেন জগন্নাথ দ্বৈতাপতি
আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটেয় ভোট ঘোষণা করবেন নির্বাচন কমিশন। তার আগে কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে সকাল থেকে পুজো, মন্ত্রপাঠ, যজ্ঞ শুরু হয়ে গেল মহা ধুমধামে।
এমনিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শাক্ত। তিনি মা কালীর উপাসনা করেন। শুক্রবার দেখা গেল, তাঁর বাড়িতে কনফারেন্স হলে ঘট রেখে পুজো করছেন জগন্নাথ মন্দিরে সেবায়েত জগন্নাথ দ্বৈতাপতি। সামনে মাস্ক পরে বসে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর পাশে মমতার ভাই বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়।
সাধারণত প্রতি শুক্রবার বিকেলে তাঁর বাড়িতে দলের কোর গ্রুপের বৈঠক ডাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার মমতার দলে এও প্রথা, যে ভোট ঘোষণার দিন বা তার পরদিনই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়ে যায়। বস্তুত সেই কারণে শুক্রবার বিকেলের পর দিদির বাড়ির উপর নজর থাকবে গোটা দলেরই।
তার আগে এদিন সকাল থেকে হোম যজ্ঞ স্বাভাবিক কারণেই রাজনৈতিক তাৎপর্য পেয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও ভোটে দলের মঙ্গল কামনার জন্যই এই পুজো হচ্ছে, এমনটা দল বা দিদির বাড়ির তরফে বলা হয়নি। তবে এ সব ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষকরা সাধারণত দুয়ে দুয়ে চার করেই নেন।
তাঁদের অনেকের মতে, এমনিতে মমতার বাড়িতে পুজোআচ্চার চল রয়েছে। ব্রাহ্মণ পরিবার। তাই সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ভোট ঘোষণার আগে এই ছবি বিরল বইকি। অতীতে এ রকম ব্যাপার স্যাপার আগে খুব একটা দেখা যায়নি।
বাংলার রাজনীতি তথা আধ্যাত্মিক পরিসরে আগে জগন্নাথ দ্বৈতাপতি নামক চরিত্রের মহিমার কথাও বিশেষ শোনা যেত না। কিন্তু গত দশ বছরে তৃণমূল জমানায় তাঁর মহিমা বাংলায় বেড়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অতীন ঘোষ, মদন মিত্র, অরূপ বিশ্বাস সহ তৃণমূলের নেতানেত্রীদের তাঁর প্রতি আস্থা অতিশয় বলে শোনা যায়।
যদিও দিদির বাড়িতে এই পুজো নিয়েও টিপ্পনী কাটতে ছা়ড়েননি বিরোধীরা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, জগন্নাথ দেবও দেখতে পাচ্ছেন যে পাপের ঘরা পূর্ণ হয়ে গেছে। ভগবান তো পাপী তাপীদের পাশে থাকেন না বলেই শুনেছি। এ বার ভোটে সাজা অনিবার্য।