রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

ব্রিগেডের মঞ্চেই তাল কাটল জোটের

March 1, 2021 | 2 min read

রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে যে মঞ্চ থেকে ‘সংযুক্ত মোর্চা’র ঐক্যবদ্ধ রূপ তুলে ধরার কথা ছিল, সেখানেই কাটল সুর। বাম, কংগ্রেস (Congress) এবং আইএসএফ- (ISF) এর মধ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে ব্রিগেডের জোট-মঞ্চেই নতুন করে তৈরি হল সংঘাতের আবহ। যার জেরে আগামী দিনে এই তিন শক্তির জোট-আলোচনা কোনও চমকপ্রদ মোড় নিলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। তাদের দাবি ও পছন্দমতো আসনের বেশিরভাগটাই বামেরা ইতিমধ্যে আইএসএফ-কে ছেড়ে দেওয়ায় ‘ভাইজান’ আব্বাস সিদ্দিকি তাঁর বক্তৃতায় কার্যত ধন্য ধন্য করলেন লাল শিবিরকে। সাফ জানিয়ে দিলেন, যেখানে বাম শরিকরা প্রার্থী দেবেন, সেখানে তাঁর দলের সমর্থকরা প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে তাঁদের জেতাবেন। আর কংগ্রেসকে প্রকাশ্যেই বার্তা দিলেন, ভাগীদারি করতে এসেছি। কারও তোষণ করতে আসিনি। এসব কথা তিনি যখন বলছেন, মঞ্চে তখন বসে রয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, জাতীয় কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক জিতিন প্রসাদ, ছত্তিশগড়ের কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল প্রমুখ। মঞ্চের পিছনের দিকে বসেছিলেন জোট আলোচনায় কংগ্রেসের প্রধান দুই মুখ আব্দুল মান্নান এবং প্রদীপ ভট্টাচার্য। এমনকী বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম এবং বাম কর্মী-সমর্থকদের কথা উল্লেখ করলেও কংগ্রেসকে এই বার্তাটুকু দেওয়া ছাড়া ‘ভাইজান’ আর কিছুই বলেননি তাঁদের নিয়ে।

আজ, সোমবার দুপুরে বাম (Bamfront) ও কংগ্রেসের আসন সমঝোতা সংক্রান্ত বৈঠক রয়েছে। সূত্রের খবর, কংগ্রেস আইএসএফ-কে কোথায় এবং কত আসন ছাড়তে পারবে, তা নিয়েই মোর্চায় জট পাকিয়ে রয়েছে। কংগ্রেসের তরফে অধীরবাবু অবশ্য এদিন সভার পর জানান, আসন সমঝোতা নিয়ে তাদের সঙ্গে বামেদেরই মূলত আলোচনা চলছে। ফলে বাকিরা কে কী বললেন বা বাকিদের ক্ষেত্রে কী করা হবে, তা এখনও আলোচনায় আসেনি।

এদিন মঞ্চে আব্বাস সিদ্দিকির (Abbas Siddiki) আগমনের সময়েই এক দফা সুর কাটে সভার। যখন আব্বাস ঢোকেন, পোডিয়ামে বক্তৃতা করছিলেন অধীরবাবু। আব্বাস ওঠা মাত্রই তাঁর সমর্থকরা প্রবল চিৎকার ও স্লোগান শুরু করেন। একটা সময় দেখা যায় অধীরবাবু বেশ কিছুক্ষণ চুপ করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাঁকে মহম্মদ সেলিম কিছু বললে অধীরবাবু কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করে আর বক্তব্য রাখবেন না বলে পিছু ফিরে যান। তখন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, মহম্মদ সেলিমরা অধীরবাবুকে সামলান। তাঁকে বক্তৃতা চালিয়ে যেতে বলেন। মাইক্রোফোনের সামনে ফিরে আসেন অধীর। পরে আব্বাস ভাষণে বলেন, যে তালিকা আমরা দিয়েছিলাম, মানুষের মনোভাব বুঝে সেই তালিকার বেশিরভাগটা মেনে নিয়েছেন বাম নেতারা। তাই যেখানে যেখানে বাম শরিকরা প্রার্থী দেবে, সেই মাতৃভূমিকে রক্ত দিয়ে স্বাধীন করব। খানিক পরে তিনি আরও বলেন, হয়তো আপনাদের মনে একটা প্রশ্ন জাগতে পারে, কংগ্রেসের কথা বললেন না কেন? স্পষ্ট জানিয়ে দিই, ভাগীদারি করতে এসেছি। কারও তোষণ করতে আসিনি। অতএব যদি কেউ মনে করে, বন্ধুত্বের হাত মেলানো দরকার, বন্ধুত্বের দরজা খোলা রয়েছে। আগামী দিনে তাদের হয়েও বাংলায় আব্বাস সিদ্দিকি লড়াই করবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#CPM, #Congress

আরো দেখুন