দেশ বিভাগে ফিরে যান

এবার রাজ্যে রাজ্যে আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে চান কৃষকরা

March 1, 2021 | 2 min read

‘এখন যাঁরা কৃষক আন্দোলনকে কটাক্ষ করছেন, আগামীতে তাঁরা প্রত্যেকে অপরাধবোধে ভুগবেন।’ রবিবার দিল্লির সীমানাগুলিতে এই হুঙ্কার দিয়েছেন তিনটি কৃষি আইন (Farm Laws) বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভরত কৃষকরা। তাঁদের অভিযোগ, ‘কৃষক আন্দোলনকে সোজা পথে দমন করতে না পেরে এবার বাঁকা রাস্তায় হাঁটছে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি এবং তার অন্য সহযোগী রাজনৈতিক দলগুলি। কৃষক আন্দোলন (Farmers Protest) নিয়ে সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে যাতে, দেশের অন্নদাতাদের উপর তাদের ক্ষোভ বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এই প্রচেষ্টা সফল হবে না। যাঁরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাঁরাও প্রত্যেকে নিজেদের ভুল বুঝতে পারবেন।’ আর এই পরিপ্রেক্ষিতেই পাল্টা পথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি।

তিনটি কৃষি আইন নিয়ে কেন অবিলম্বে বাতিল করা জরুরি, তা বোঝাতে আজ, সোমবার থেকে রাজ্যে রাজ্যে কর্মসূচি গ্রহণ করছেন কৃষক নেতারা। যাঁদের পুরোভাগে থাকছেন ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়েত (Rakesh Tikait)। কৃষক সংগঠনগুলি জানিয়েছে, আপাতত স্থির হয়েছে উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক এবং তেলেঙ্গানায় কৃষক আন্দোলন সমর্থনে কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। কৃষক মিছিল হবে। আয়োজন করা হবে কৃষক সমাবেশেরও। প্রতিটি রাজ্যই দুই থেকে তিনটি কৃষক সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশেও আলাদা করে কৃষক সমাবেশের পরিকল্পনা করেছে কিষান মোর্চা। তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে দিল্লি সীমানায় বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন কৃষকরা। এবার সেই আন্দোলন যেভাবে রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন কৃষকরা, তা চাপ বাড়িয়েছে সরকার পক্ষের। অন্যদিকে, রবিবার কৃষক ইস্যুতে বিজেপি সরকারকে তুলোধনা করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে এদিন উত্তরপ্রদেশের মিরাটে একটি কিষান মহাপঞ্চায়েতে যোগ দিয়েছিলেন আম আদমি পার্টির (আপ) সুপ্রিমো। তাঁর অভিযোগ, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে সংসদে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government) মিথ্যে কথা বলেছে। তিনটি কৃষি আইন আদতেই কৃষকদের মৃত্যু পরোয়ানা। মিথ্যে কথা বলছে উত্তরপ্রদেশ সরকারও। অভিযোগ করেছেন কেজরিওয়াল।

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে কাঠগড়ায় তুলে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘রাজ্য সরকারের লজ্জা হওয়া উচিত। উত্তরপ্রদেশের আখচাষিরা গত দু’বছর ধরে বকেয়া পাচ্ছেন না। চিনিকল নিয়ে যে সমস্যা হচ্ছে, তারও সুরাহার ব্যাপারে উত্তরপ্রদেশ সরকারের কোনও হেলদোল নেই। টালবাহানা করা হচ্ছে।’ উল্লেখ্য, এর আগে দিল্লি-হরিয়ানার সিংঘু সীমানায় গিয়েও আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Farm Laws, #Farmers' protest

আরো দেখুন