রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

চাকরির টোপ দিয়ে সহবাস মন্ত্রীর, কর্ণাটকে বেকায়দায় বিজেপি

March 4, 2021 | 2 min read

সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক মহিলার সঙ্গে সহবাসের অভিযোগ। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই পদত্যাগ করলেন কর্ণাটকের জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ জারকিহোলি (Ramesh Jarkiholi)। যার জেরে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন এবং কর্ণাটকের (Karnataka) পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুখ পুড়ল বিজেপির। যদিও, যাবতীয় অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন একদা দলত্যাগী কংগ্রেস বিধায়ক রমেশ। তাঁর দাবি, গোটা ভিডিওটি ভুয়ো।

মঙ্গলবার কর্ণাটকের সমাজকর্মী দীনেশ কালাহল্লি ওই ভিডিওটি প্রকাশ করেন। তাতে দেখা যায়, এক মহিলার সঙ্গে অসংলগ্ন অবস্থায় বসে রয়েছেন মন্ত্রী। সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে যৌনতার প্রস্তাব দিচ্ছেন। ভিডিওতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া এবং বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা সম্পর্কেও রমেশ জারকিহোলিকে মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে। কংগ্রেস নেতা সিদ্ধারামাইয়াকে ‘ভালো’ এবং ইয়েদুরাপ্পা ‘বহু দুর্নীতি করেছেন’, একথাও বলেন মন্ত্রী। সেইসঙ্গে তাঁর একটি অডিও ক্লিপিংও সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। দীনেশ জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ দপ্তরে চাকরির লোভ দেখিয়ে ওই তরুণীকে সহবাসে বাধ্য করেছিলেন জারকিহোলি। এমন অত্যন্ত স্পর্শকাতর মামলা যেহেতু একার পক্ষে লড়া সম্ভব নয়, তাই তরুণীর পরিবারের তরফে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। বেঙ্গালুরুর কব্বন পার্ক থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই অভিযোগ অস্বীকার করেন জারকিহোলি। তিনি বলেন, আমি ওই মহিলা ও অভিযোগ সম্পর্কে কিছুই জানি না। ওই মহিলার সঙ্গে কোনওদিন কথাও হয়নি। এটা খুব মারাত্মক অভিযোগ। আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন করেছি। অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। কিন্তু, মন্ত্রীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি জানিয়ে কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধীরা রাস্তায় নামতেই চাপে পড়ে যায় বিজেপি শিবির। মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করানো হয় জারকিহোলিকে। বিজেপির (BJP) সাধারণ সম্পাদক তথা কর্ণাটকের দায়িত্বপ্রাপ্ত অরুণ সিং তাঁকে দলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন। পদত্যাগ করার পর জারকিহোলি বলেন, আমি নির্দোষ। এ ব্যাপারে আমি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত। নৈতিকতার জায়গা থেকে আমি ইস্তফা দিচ্ছি।

যদিও, বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা। তবে রমেশের পাশে দাঁড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি। তাঁর বক্তব্য, চটজলদি কোনও সিদ্ধান্তে আসা উচিত নয়। আগে সত্যিটা জানতে হবে। যদি এমন ঘটে থাকে, তাহলে অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা। রাজনীতিকদের নীতিগত ভাবে সবসময় ঠিক থাকতে হয়। অভিযুক্ত জারকিহোলির পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁর ভাই তথা বিজেপি বিধায়ক বালাচন্দ্রও। ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, যারা এই ভুয়ো ভিডিও ছড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করব।

গোককের বিধায়ক রমেশ। সেইসঙ্গে কর্ণাটকের অন্যতম প্রভাবশালী নেতাও বটে। বেলগাভি এলাকায় তাঁর দাপট রয়েছে। খুব শীঘ্র ওই বেলগাভিতে উপনির্বাচন হতে চলেছে। তাই গোটা ঘটনায় অস্বস্তিতে বিজেপি। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে ২০১৯ সালে যে ১৭ জন বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, রমেশ তাঁদের মধ্যে অন্যতম। এই ঘটনায় পড়ে গিয়েছিল এইচ ডি কুমারস্বামী নেতৃত্বাধীন জেডিএস-কংগ্রেসের জোট সরকার।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#bjp, #Karnataka, #sex tape scandal, #Ramesh Jarkiholi

আরো দেখুন