বাড়ি বাড়ি প্রচারে তৃণমূল প্রার্থী অসীমা ধীবর
দুবরাজপুরে (Dubrajpur) জনসংযোগ বাড়াতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারে জোর দিলেন তৃণমূল প্রার্থী অসীমা ধীবর (Ashima Dhibar) । বুধবার থেকেই তিনি এই বিধানসভা এলাকায় প্রচার শুরু করলেন। এমনকী, প্রচারের মাঝে গ্রামেরই এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে সবার সঙ্গে মেঝেতে বসে জলখাবারও খান অসীমাদেবী। তিনিও যে গ্রামের একজন এদিন গ্রামবাসীদের কছে সেই বার্তাই দেওয়ার চেষ্টা করেন। আগামিদিনে তাঁদের মধ্যেই জনপ্রতিনিধি হিসেবে এভাবেই মিশে থাকতে চান বলে তিনি জানান। যদিও তাঁর এই প্রচারকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। তাঁদের দাবি, তৃণমূলের আগের বিধায়ক নরেশ বাউরি ও বর্তমান প্রার্থী অসীমা ধীবরকে এলাকাবাসী আর চান না। তৃণমূল তো নরেশ বাউরিকে সরিয়েই দিয়েছে। আর দলীয় কর্মীরাই অসীমাদেবীকে প্রার্থী চান না বলে দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষর কাছে দাবি জানিয়েছে। বুধবার দুবরাজপুর বিধানসভার রূপুসপুর পঞ্চায়েতে বেশ কয়েকটি গ্রামে হেঁটে হেঁটে বাড়ি বাড়ি ঢুকে প্রচার করেন অসীমাদেবী। তাঁদের কাছে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন। পাশাপাশি তিনি গ্রামবাসীদের দাবি ও অভাব অভিযোগের কথাও শোনেন। আগামিদিনে সেই দাবি বিবেচনা করবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি।
এদিন সকালে রূপুসপুর গ্রামে প্রচারের সময় তৃণমূল (Trinamool) কর্মী গজেন্দ্রনাথ মণ্ডলের বাড়িতে ঢুকে তিনি মেঝেতে বসে সবার সঙ্গে মুড়ি-বেগুনি-ঘুগনি দিয়ে জলখাবার খান। বুঝিয়ে দেন তিনি তাঁদের বাড়িরই একজন সদস্য। তারপর সেখান থেকে লোকপুর গ্রামে প্রচার করেন তিনি। প্রচারের সময় ওই গ্রামের মহিলাদের নিয়ে একটি ছোট পথসভাও করেন। সেখানে তিনি গ্রামবাসীদের বিধানসভা ভোটে তাঁরা যেন সবাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আশীর্বাদ করেন এমনই বার্তা দেন। এছাড়াও তিনি এদিন হজরতপুর, ইসগড়া, কেন্দ্রগড়িয়া প্রভৃতি পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন গ্রামে রোদের মধ্যেও হেঁটে হেঁটে প্রচার করেন। এদিন অসীমাদেবীকে নাগালে পেয়ে মহিলারা অনেকেই বাড়িতে আসার অনুরোধ করেন। কিন্তু প্রচারে সময় কম থাকায় তিনি ফের আসার আশ্বাস দিয়ে এগিয়ে যান। অসীমাদেবীর দাবি, তিনি বাড়ি বাড়ি প্রচারে বেশি জোর দিচ্ছেন। এর ফলে মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ সব থেকে বেশি তৈরি হয়। গোটা বিধানসভায় আগামী বেশ কয়েকটি দিন তিনি বাড়ি বাড়ি ঘুরেই প্রচার করবেন ও মানুষকে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের কথা বোঝাবেন বলে জানান। এই অবস্থায় প্রার্থী ঘোষণা না হলেও দুবরাজপুরে একইভাবে প্রচার চালাচ্ছে বিজেপিও। তাঁদের দাবি, এখানে মানুষ তৃণমূলের উপর ক্ষুব্ধ। নরেশবাবুকে জেতার পর তাঁকে আর এলাকায় দেখা যায়নি।
ভোটের আগে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েছেন তিনি। তাই তাঁকে দল প্রার্থী করেনি। একই অবস্থা বর্তমান প্রার্থীরও। বিজেপি নেতা অর্জুন সাহা বলেন, আমাদের প্রার্থী ঘোষণা সময়ের অপেক্ষা। এলাকাবাসী তৃণমূলের উপর ক্ষুব্ধ। এলাকায় আমাদের কর্মীরাও বাড়ি বাড়ি প্রচার করছেন। প্রার্থী যেই হোন না কেন তাঁর সমর্থনে প্রচার জারি থাকবে।