রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের হোতারা দল ছেড়েছে, তৃণমূলে স্বস্তির নিশ্বাস

March 12, 2021 | 2 min read

আগে ঘর গোছাতে তৎপর তৃণমূল-বিজেপি উভয় শিবির। নিজেদের ক্ষোভ ও অসন্তোষকে ভুলে একজোট হয়ে ময়দানে নামতে চাইছে সকলেই। কল্যাণী, হরিণঘাটা ও চাকদহ কেন্দ্রে পঞ্চম দফায়, অর্থাৎ ১৭ এপ্রিল ভোট। এই এলাকার জন্য তৃণমূল এবং সিপিএম (CPM) প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে প্রচারে নামলেও, বিজেপি (BJP) এখনও পিছিয়ে রয়েছে।

স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির থেকে তৃণমূল (Trinamool) এবং সিপিএম প্রার্থীরা প্রচারে অতিরিক্ত সময় পাচ্ছেন। তাঁরা দলীয়ভাবে বুথ স্তরে আলোচনা করে এবং এলাকায় গিয়ে প্রচারের মাধ্যমে নিজেদের ঘর গোছাতে শুরু করে দিয়েছেন। তবে, প্রার্থী ঘোষণা ছাড়াই ঘর গোছাতে মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি।

গত লোকসভা ভোটের পর থেকেই আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে বিজেপি। ওই ভোটের পর তৃণমূলের হরিণঘাটা পুরবোর্ডের টালমাটাল অবস্থা হয়। একাধিক কাউন্সিলার বিজেপিতে যোগ দেন। সেই ধাক্কা সামাল দেওয়া গেলেও এলাকার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কমানো যায়নি। এমনকী, চাকদহ থেকে গয়েশপুর প্রায় সর্বত্র মাথাচাড়া দিয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ফলে, বারবার অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে রাজ্যের শাসক দলকে।

গত বিধানসভা ভোটে তৃণমূল সাফল্য পেলেও লোকসভা ভোটে কল্যাণী, চাকদহ এবং হরিণঘাটা বিধানসভা এলাকায় তাদের ভরাডুবি হয়। কারণ খুঁজতে গিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই দায়ী করেছে রাজনৈতিক মহল। পরবর্তীকালে রাজ্য থেকে জেলা নেতৃত্ব বারবার এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থামাতে হস্তক্ষেপ করেও লাভ হয়নি। কিন্তু এই ভোটের আগে নিজেদের অস্তিত্বের লড়াইয়ে একজোট হয়ে ময়দানে নামতে চাইছে তৃণমূল।

এই বিষয় নদীয়া জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র বাণীকুমার রায় বলেন, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর যে জঘন্য ঘটনা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে মানুষ আরও বেশি করে তাঁর পাশে এসে দাঁড়াবে। এছাড়া তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খলনায়করা ইতিমধ্যেই দলত্যাগ করেছেন। এখন যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা এই ভোটে জয়ের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়েছেন। অন্যদিকে, অনেক জায়গাতেই বুথ স্তরে বিজেপির সংগঠন দুর্বল। তাদের বিভিন্ন কমিটিতে রয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যা কমাতে একাধিকবার বিভিন্ন কমিটিতে রদবদল করতে হয়েছে নেতৃত্বকে। তাঁদের পক্ষ থেকে বিধানসভা এলাকা ধরে ধরে অনেক আগে থেকেই সাংগঠনিক পর্যালোচনা করার পাশাপাশি তৈরি করা হয়েছে নির্বাচনী কমিটি।

দলবদলু নেতারা বিজেপি যোগ দেওয়ার পর গোষ্ঠী কোন্দল বন্ধ হয়নি। নিচুতলার কর্মীরা এতে ভয়ানক ক্ষুব্ধ। তাঁদের বক্তব্য, লোকসভায় মানুষ বিজেপিকে বিরাট জয় দিয়েছে দলের গোষ্ঠী কোন্দল দেখার জন্য নয়। বারবার এই ঘটনা ঘটলে এই ভোটে মানুষের কাছে কোন মুখ নিয়ে যাব আমরা! তাঁদের দাবি, দলের কিছু নেতা ক্ষমতায় না এসেই ক্ষমতার লোভে দলকে ক্ষতির মুখে দাঁড় করাচ্ছেন। সকলের উচিত, একজোট হয়ে লড়াইটা চালিয়ে যাওয়া।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#bjp, #CPM, #Trinamool Congress

আরো দেখুন