দলবদলুরাই প্রাধান্য পেল বিজেপির চতুর্থ তালিকায়, আছেন সাংসদরাও
আবার সেই এক চিত্রনাট্য। একুশের নির্বাচনের জন্য চতুর্থ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই দেখা গেল, তালিকা ভর্তি শুধু দলবদলু এবং সাংসদ (প্রাক্তন ও বর্তমান) দের নাম। এমনকি ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী করেছে বিজেপি (BJP)। যোগ্য প্রার্থীর এত অভাব যে দলের, তারা ২০০ আসনে জয়ী হয়ে সরকার কীভাবে গড়বে, মানুষের মনে এখন প্রশ্ন সেটাই।
বিজেপির চতুর্থ তালিকায় আবার দেখা গেল সাংসদদের নাম। শান্তিপুর থেকে লড়বেন রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার। কৃষ্ণনগর উত্তরে বিজেপি-র প্রার্থী হলেন মুকুল রায়। তৃণমূল-ত্যাগী সব্যসাচী দত্তকেও এ বার প্রার্থী করেছে বিজেপি। যদিও নিউটাউনের বদলে তাঁকে দেওয়া হয়েছে বিধাননগর কেন্দ্রটি। মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশুকে দাঁড় করানো হয়েছে বীজপুর কেন্দ্রে। তৃণমূল ত্যাগী জিতেন্দ্র তিওয়ারি প্রার্থী হচ্ছেন পাণ্ডবেশ্বরেই।
অন্যদিকে চৌরঙ্গী আসন থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয় প্রাক্তন কংগ্রেস রাজ্য সভাপতি সোমেন মিত্রের স্ত্রী শিখা মিত্রের। কিন্তু তিনি সাফ জানিয়ে দেন, তিনি বিজেপিতে যোগ দেন নি। খবরটি ভুয়ো, মিথ্যা প্রচার চলছে।
শিখা মিত্রের পর এবার সরব তরুণ সাহা। উনি কাশিপুর-বেলগাছিয়ার তৃণমূল বিধায়িকা মালা সাহার স্বামী। বললেন, বিজেপির হয়ে নির্বাচনে দাঁড়ানোর প্রশ্নই ওঠে না।
এছাড়া, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির প্রার্থী শিখা চ্যাটার্জি এসেছেন তৃণমূল (Trinamool) থেকে, শিলিগুড়ির প্রার্থী শঙ্কর ঘোষ এসেছেন সিপিএম থেকে। পানিহাটির প্রাথী সন্ময় ব্যানার্জি এসেছেন কংগ্রেস থেকে, বিধাননগরে সব্যসাচী দত্ত এবং কালনায় বিশ্বজিৎ কুন্ডু, দুজনেই তৃণমূলের বিধায়ক ছিলেন। বিধায়ক ছিলেন জগদ্দলের প্রার্থী অরিন্দম ভট্টাচার্য এবং খড়দহের প্রাথী শীলভদ্র দত্তও। তাদের কেন্দ্র বদল হয়েছে।
তার ওপর, প্রার্থী অপছন্দ হওয়ায় বিক্ষোভও চলছে রাজ্যজুড়ে। প্রার্থী ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই জলপাইগুড়িতে পার্টি অফিস ভাংচুর করেন কর্মীরা।
এছাড়াও শিবপুরের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী ও বালির বিজেপি প্রার্থী হিসেবে বৈশালী ডালমিয়ার নাম ঘোষণা করা হল। এরাও এসেছেন তৃণমূল থেকে।
এত কিছুর পরেও এখনো ২৯৪টি আসনের সব কটিতে প্রাথী দিতে পারেনি বিজেপি। এখনও বাকি ২৩টি আসন। বিজেপিকে কটাক্ষ করে এদিন তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন টুইট করেন, প্রত্যেকবার প্রার্থী ঘোষণা করার পর বিজেপির মুখ পুড়ছে। সহজেই ওমলেট বানানো যেতে পারে।