লক্ষ্য বিভাজন? গেরুয়া শিবিরের দেদার ‘রাম’ নাম জপায় উঠছে প্রশ্ন
জয় শ্রীরাম (Jay Shree Ram)। এখন যেটা রাজনৈতিক স্লোগান। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের (West Bengal Assembly Election 2021) আগে তৃণমূল ও বিজেপি, দুই শিবিরের স্লোগানেও যেন টক্কর চলছে। বিজেপি কিন্তু রামকার্ড খেলার ব্যাপারে কোনও কার্পণ্য করছে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিরা বাংলায় এসে একাধিক মঞ্চ থেকে দেদার রামকার্ড খেলছেন। মিছিল হোক বা সভা, রামের নামে গরম করে তুলছেন বাজার।
যোগী আদিত্যনাথ এখনও পর্যন্ত বাংলায় চারটি সভা করেছেন। আর মাত্র চারটি সভাতেই তিনি ৮০ বার রামের নাম মুখে এনেছেন। ২ মার্চ মালদার সভা থেকে রামের নাম নিয়েছেন ১৫ বার। ১৬ মার্চ পুরুলিয়ায় নবার। যোগীর মুখে রাম নাম শোনা গিয়েছে বাঁকুড়ায় ৩৫ বার ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ২১ বার। বিজেপির নেতা-মন্ত্রীদের মধ্যে রামনাম উচ্চারণে তিনি সব থেকে এগিয়ে। সব থেকে মজার ব্যাপার, এই চার সভাতেই তাঁর বক্তৃতার স্ক্রিপ্ট মোটামুটি একই। সেখানে রামনাম যেন সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে। দারিদ্র ও বিকাশের মতো ইস্যুগুলি পিছিয়ে গিয়েছে রামনামের চাপে। বাঁকুড়ার সভা থেকে যোগী আদিত্যনাথ বলেছিলেন, আমাদের জীবন থেকে রামের নাম কেউ আলাদা করতে পারবেন না। বাংলার মানুষ এখন রামের বিরোধিতা করা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আর সহ্য করবে না।
অমিত শাহ (Amit Shah) এখনও পর্যন্ত তিনবার বাংলা সফরে এসেছেন। মোট ছটি সভা করেছেন। তিনি মাত্র দুটি মিছিলেই এখনও পর্যন্ত ২৬ বার মঞ্চ থেকে জয় শ্রীরাম বলেছেন। ১৮ ফেব্রুয়ারি গঙ্গাসাগরের সভায় তিনি দশবার রামনাম করেছেন। তার আগে ১১ ফেব্রুয়ারি কোচবিহারে ১৬ বার তিনি বলেছেন জয় শ্রীরাম। তাঁর দাবি ছিল, এখন পরিবর্তনের প্রতীক এই স্লোগান। এই রামনাম মুখে নিয়েই তাঁরা বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবেন। এদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি আবার নিজের প্রথম সভাতেই ১৪ বার রামনাম করেছেন।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) হয়তো যোগী বা অমিত শাহের মতো এতবার রামনাম উচ্চারণ করেননি। তবে তিনিও রামের দোহাই দিয়ে বাংলার মানুষের কাছে ভোট চাওয়ার সুযোগ ছাড়েননি। দুর্গার জয়জয়কার যে মাটিতে, সেখানে বিজেপিকে কি অ্যাডভান্টেজ করে দেবে রামনাম! সেই প্রশ্নের উত্তর হয়তো পাওয়া যাবে ২ মে। আর তো কয়েকটা দিন। একটু তো ধৈর্য ধরতেই হবে।