প্রিন্স ফিলিপের শেষকৃত্যে থাকবেন হ্যারি
ঠাকুরদার শেষকৃত্যে ‘ঘরে ফিরছে’ নাতি। সবকিছু ঠিক থাকলে সদ্যপ্রয়াত প্রিন্স ফিলিপের (Prince Philip) অন্ত্যেষ্টিতে হাজির থাকতে পারেন রাজকুমার হ্যারি (Prince Harry)। তবে তাঁর স্ত্রী মেগান ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন না বলেই বাকিংহাম প্যালেস সূত্রে জানানো হয়েছে। কারণ, বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা মেগান। খুব শীঘ্রই হ্যারির দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন তিনি। এই অবস্থায় তাঁকে আমেরিকার বাইরে সফর করতে বারণ করেছেন চিকিৎসকরা। রাজপরিবারের এক মুখপাত্র বলেন, ‘ডিউক অব সাসেক্স হ্যারি শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকবেন। কিন্তু, চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ডাচেস অব সাসেক্স মেগান এই মুহূর্তে বিমানে সফর করা থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী ডিউক অব এডিনবরা প্রিন্স ফিলিপের জীবনাবসান ঘটে গত শুক্রবার। শনিবার ব্রিটিশ রাজপ্রসাদ সূত্রে জানানো হয়, আগামী ১৭ এপ্রিল শনিবার উইন্ডসর প্রাসাদের সেন্ট জর্জ’স চ্যাপেলে স্থানীয় সময় দুপুর দু’টো নাগাদ এক মিনিটের নীরবতা পালনের মাধ্যমে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। করোনা আবহে ওই অনুষ্ঠানে সাধারণের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকী, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও সেখানে হাজির থাকবেন না। অতিথির সংখ্যা মাত্র ৩০ জনের মধ্যে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের জন্য গোটা অনুষ্ঠানটি টিভিতে লাইভ সম্প্রচারিত হবে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। প্রাসাদের এক মুখপাত্রের কথায়, ‘আড়ম্বরে কাটছাঁট করা হলেও ডিউকের জীবন ও রানির সঙ্গে তাঁর ৭৩ বছরের দাম্পত্যের কথা তুলে ধরা হবে ওই অনুষ্ঠানে। পাশাপাশি ব্রিটেন ও কমনওয়েলথের অগ্রগতিতে তাঁর অবদানকেও স্মরণ করা হবে।’ প্রয়াত ফিলিপকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তাঁর বড় ছেলে প্রিন্স অব ওয়েলস চার্লস। ‘প্রিয় পাপা’-কে একজন স্পেশ্যাল মানুষ আখ্যা দিয়ে চার্লস বলেন, ‘আমার পাপা একজন স্পেশ্যাল মানুষ ছিলেন। আমি এবং গোটা পরিবার ওঁকে মিস করব।’
ফিলিপের মৃত্যুতে ব্রিটেনজুড়ে ৮ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে। শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সমস্ত সরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। শনিবারই রানির সঙ্গে দেখা করেন তাঁর দুই পুত্র প্রিন্স অ্যান্ড্রু এবং প্রিন্স এডওয়ার্ড। এসেছিলেন এডওয়ার্ডের স্ত্রী সোফিও। বেরনোর সময় রানির মানসিক অবস্থা নিয়ে জানতে চাওয়া হলে সোফি বলেন, ‘উনি ভালো আছেন।’ গত দু’দিনের মতো রবিবারও ব্রিটেনের সমস্ত সংবাদপত্রের প্রথম পাতা ছিল ‘ফিলিপময়’।