বাঙালিদের নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন জো বাইডেন
বাঙালিকে পয়লা বৈশাখের শুভেচ্ছাবার্তা। যিনি পাঠাচ্ছেন তাঁর নাম জো বাইডেন (Joe Biden)। না মার্কিন প্রেসিডেন্টের সমনামী কেউ নন, এই ট্যুইটটি তাঁরই করা। বাংলা নববর্ষে (Poila Boishakh) বাঙালির জন্য সস্ত্রীক মার্কিন প্রেসিডেন্টের শুভেচ্ছাজ্ঞাপনে রীতিমতো হতবাক বিশ্বের নানা কোণে ছড়িয়ে থাকা বাঙালিরা।
এ দিন ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, “আমি এবং আমার স্ত্রী জিল দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বসবাসকারী সেই সকল নাগরিককে শুভেচ্ছা জানাই যারা নববর্ষ , বৈশাখী, সংক্রান্তি পালন করছেন। :প্রসঙ্গত এই দিন শুধু বাংলা নববর্ষ নয়, আরো বেশ কয়েকটি দেশে সাড়ম্বরে নববর্ষের উৎসব পালিত হবে। সে কথা মনে রেখেছেন বাইডেন এবং লিখেছেন, “শুভ বাংলা ,কম্বোডিয়ান, মায়ানমারি, নেপালি, সিংহলি, তামিল, থাই এবং বিষ্ণু নববর্ষ।”
এই ট্যুইটের পর থেকেই আরও একবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের বং কানেকশানের খোঁজ শুরু হয়ে গিয়েছে। মর্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ভারত যোগের কথা এখন প্রায় সকলেরই জানা। কিন্তু সদ্য নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনেরও শিকড় ভারতে, মার্কিন ভোটের বাজারে সামনে এসছে এমনই তথ্য। আর এই তথ্য দিয়েছিলেন বাইডেন নিজেই।
২০১৩ সালে মুম্বই সফরে একটি সাক্ষাৎকার দিয়ে বাইডেন বলেন, তাঁর আদিপুরুষরা মুম্বই নিবাসী। পরে ওয়াশিংটনে এক অনুষ্ঠানে তিনি আরও একধাপ এগিয়ে বলেন, তাঁর পূর্বপুরুষরা পাঁচ পুরুষ ধরে মুম্বই নিবাসী। বাইডেন ২০১৩ সালে বণিক সভার এক অনুষ্ঠানে এও জানান, তাঁর পূর্ব পুরুষ জর্জ বাইডেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ক্যাপ্টেন ছিলেন। তিনি এক ভারতীয় মহিলার সঙ্গে বিবাহবন্ধনেও আবদ্ধ হন। বাইডেন জানান, তাঁকে ওই পরিবারের খোঁজও দিয়েছিলেন কেউ। সম্প্রতি ফ্যামিলিজ ইন ব্রিটিশ ইন্ডিয়া নামক ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে, জর্জ নয়, বাইডেনের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্রিস্টোফার বাইডেন। ক্রিস্টোফার ১৯ বছর ছিলেন চেন্নাইয়ে। তাঁর ছেলে হেরাসিও বাইডেন নাকি কলকাতাতেও এসেছিলেন। লা মার্টিনিয়র স্কুলের এক শিক্ষকের পদবিও নাকি ছিল বাইডেন, দাবি করেছেন লন্ডনের কিংস কলেজের অতিথি অধ্যাপক টিম উইলসি।