দেশ বিভাগে ফিরে যান

১০ শতাংশ সংক্রমণ হলেই কন্টেইনমেন্ট জোন, কেন্দ্রের নয়া গাইডলাইন

April 27, 2021 | 2 min read

সংক্রমণের হার টানা এক সপ্তাহ ১০ শতাংশ অথবা হাসপাতালে ৬০ শতাংশের বেশি বেডে অক্সিজেন সাপোর্টে থাকা করোনা রোগী ভর্তি থাকলেই জেলাকে ‘কন্টেইনমেন্ট জোন’ ঘোষণা করা হতে পারে। কোভিডের (Covid 19) সংক্রমণ রুখতে এমনই নয়া গাইডলাইন প্রকাশ করল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। রাজ্যগুলিকে বলা হয়েছে, কোথায় কোন অঞ্চলে সংক্রমণ বেশি, কোন বয়সি করোনার রোগী হাসপাতালে ভর্তি, তা ভালো করে নজরে রাখা হোক। রাজ্য এবং জেলাস্তরে কোভিড ড্যাশবোর্ড তৈরি হোক, যাতে সাধারণ মানুষ দেখে নিতে পারবেন, কোথায় কী অবস্থা।

করোনার যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে এখনই কড়া ব্যবস্থা না নিলে বিপদ বলেই জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধন তো বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘সংক্রমণের সুনামি’ বলেই মন্তব্য করেছেন। তাই দেশজুড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে উঠে পড়ে লাগল কেন্দ্র।

গত ২৪ ঘন্টায় দেশে ৩ লক্ষ ৫২ হাজার ৯৯১ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন বলে সোমবার জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। করোনায় একদিনে মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৮১২ জনের। যদিও জাতীয় স্তরে মৃত্যু হার কমে বর্তমানে ১.১৩ শতাংশ দাঁড়িয়েছে। সেই হিসেবে নতুন ঢেউয়ে সংক্রমণের হার সাংঘাতিক হলেও মৃত্যু হার কম। অন্তত সরকারি তথ্য তাই বলছে।

এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল বলেন, কোভিড বিধি না মানলে একজন সংক্রামিত ব্যক্তি ৩০ দিনে ৪০৬ জন পর্যন্ত লোকের মধ্যে রোগ ছড়াতে পারেন। অপ্রয়োজনে বাইরে ঘোরাঘুরি বন্ধ করলে এই সংখ্যা কমে হতে পারে ১৫। একইভাবে মাস্ক না পরলে সংক্রমণের ঝুঁকি ৯০ শতাংশ বলেই জানানো হয়েছে।

তাই করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের হাইপাওয়ার কমিটির অন্যতম সদস্য‌ তথা নয়াদিল্লি এইমসের ডিরেক্টর ডাঃ রণদীপ গুলেরিয়ার পরামর্শ, কোভিডের কোনওরকম উপসর্গ দেখলেই তৎক্ষণাৎ নিজেকে সবার থেকে পৃথক (আইসোলেশন) করে দিন। কবে কোভিড টেস্টের রেজাল্ট আসবে, তা দেখে ব্যবস্থা নেব, এমনটা করবেন না। করোনার কোনওরকম উপসর্গ দেখলে, সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিন। অহেতুক প্যানিক না করে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে বাড়িতেই সুস্থ হয়ে উঠুন।

এদিকে, করোনা প্রতিষেধকের দাম কমাতে ভারত বায়োটেক ও সিরামকে কেন্দ্র চিঠি দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই ভ্যাকসিনের (Covid Vaccine) দামে অভিন্নতা আনার জন্য অনেকদিন ধরেই দাবি জানাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বেশ কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রী। কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিনের জন্য কেন্দ্র, রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল ও বেসরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা দাম ধার্য করেছে সিরাম ও বায়োটেক।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#covid19, #Containment Zones

আরো দেখুন