অক্সিজেন সরবরাহ: সুপ্রিম কোর্টে বিরাট ধাক্কা কেন্দ্রের
অক্সিজেন (Oxygen) ইস্যুতে এক মামলায় শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) হেরে গেল মোদি সরকার। একইসঙ্গে রাজধানী দিল্লির অক্সিজেন সরবরাহের মামলায় খেল ধমকও। কর্ণাটকের কোভিড আক্রান্ত রোগীর প্রাণ বাঁচানোর লক্ষ্যে বাড়তি অক্সিজেন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্যের হাইকোর্ট। নির্দেশ ছিল, ৯৬৫ মেট্রিক টন নয়, রোজ ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন দিতে হবে। কর্ণাটক হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল মোদি সরকার। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (D Y Chandrachud) স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, কর্ণাটক হাইকোর্ট বুঝেশুনেই বাড়তি অক্সিজেনের নির্দেশ দিয়েছে। কর্ণাটকের মানুষকে কোনও ভাবেই বিপদের মুখে ফেলতে পারি না। তাই কেন্দ্রের আবেদন গ্রাহ্য করছি না।
একইভাবে দিল্লির ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আক্রান্তদের অক্সিজেনের অভাব মেটাতে প্রতিদিন ৭০০ মেট্রিক টন সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু তা নিয়ে সমানে গড়িমসি করেই চলেছে মোদি সরকার। তাই কেন্দ্রের সলিসেটর জেনারেল তুষার মেহতাকে কার্যত ধমক দিয়ে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেছেন, ৭০০ মানে ৭০০। প্রতিদিন দিল্লিকে ৭০০ মেট্রিক টনই অক্সিজেন সরবরাহ করবেন। এর নিয়ে এমন কিছু করবেন না যে, আদালতকে কড়া ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হতে হয়।
অন্যদিকে, কোভিডের তৃতীয় ঢেউ অনিবার্য বলে দু’দিন আগেই কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ডঃ বিজয় রাঘবন সতর্ক করেছিলেন। তবে শুক্রবার তিনি বলেন, জনগণ চাইলে অনেকটাই রুখতে পারেন। আমাদের নিজেদের হাতেই রয়েছে ক্ষমতা। কোভিড বিধি সঠিকভাবে মেনে চললে দেশের সর্বত্র তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার বিষয়টি অনেকটাই আটকানো যাবে। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউ কবে শেষ হবে? তিনি বলেন, নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাচ্ছে না। একইসঙ্গে তিনি বলেন, সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বাড়িতে উপযুক্ত ভেন্টিলেশন বা হাওয়া চলাচল জরুরি। খোলা জায়গায় হাওয়ার মাধ্যমে ভাইরাস সরে যায়। বদ্ধ পরিবেশে সংক্রমণ বৃদ্ধির সম্ভাবনাও বেশি। তাই জানলা দরজা খোলা রাখুন। হাওয়া চলাচল করতে দিন। একইসঙ্গে জানিয়ে দেন, জলের মাধ্যমে কোভিড ছড়ায়, এমন কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি মেলেনি। উল্লেখ্য, গোটা দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ৪ লক্ষ ১৪ হাজার ১৮৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ৩ হাজার ৯১৫ জন।