রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

পঞ্চায়েত দপ্তরের রবীন্দ্রস্মরণ! ঠাকুরবাড়ির পদ মিলবে ঘরে বসেই

May 8, 2021 | 2 min read

জীবনের সব রঙে আছেন তিনি। তাঁর কথাসাহিত্যের পরতে পরতে রামধনু। এমন প্রতিভাধর মানুষটি ছিলেন ভোজনরসিকও। তাই গানে, কবিতায়, নাটকে স্মরণের প্রথাসিদ্ধ পথ ছেড়ে ভোজনে রবীন্দ্রস্মরণের ‘আয়োজন’ করেছে রাজ্য সুংসহত এলাকা উন্নয়ন পর্ষদ (CADC)। কবিগুরুর পছন্দের খাবারের স্বাদ নেওয়ার সুযোগ তাঁর জন্মদিনকে কেন্দ্র করে হাতের কাছে এনে দিচ্ছে রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তরের অধীন ওই সংস্থা। তাও আটদিন ধরে। 

৯-১৬ মে সিএডিসি’র হোয়াটস অ্যাপ নম্বরে আবেদন করলেই বাড়িতে চলে আসবে কবিগুরুর (Rabindranath Thakur) এবং ঠাকুরবাড়ির পছন্দের পদগুলি। নোবেলজয়ীর অনন্য সাহিত্যকর্মের রসাস্বাদন বাঙালি বহু বছর ধরে করছে এবার অন্যতর এক আস্বাদের সুযোগ নিয়ে এসেছে রাজ্য সরকার। সিএডিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, রীতিমতো গবেষণা করে বিশেষজ্ঞ রাঁধুনি নিয়ে কবিগুরুর পছন্দের পদের রান্না করানো হচ্ছে। তাঁর ভাইঝি প্রজ্ঞাসুন্দরী দেবী সহ একাধিক গবেষক, লেখকের তথ্যকে ঝাড়াই-বাছাই করে খাবারের মেনু সাজিয়েছেন কর্তারা। থাকছে নিরামিষ ও আমিষ দু’ধরনের পদই। অতি অবশ্যই সময়ের সঙ্গে আধুনিকতার কিছুটা মিশেলও রান্নায় থাকবে।

তাই দুধ-কাতলার নাম হচ্ছে ক্রিমি কাতলা কারি। তা বলে সনাতনী গন্ধ হাপিস হয়ে যাচ্ছে এমনটাও নয়। ঠাকুরবাড়ির পুডিং, ছানার মোতি পোলাও এঁচোড়ের দইবড়াও যে থাকছে। তালিকা এখানেই শেষ নয়। মাছের টক, মুরগির মালাইকারি, বাংলার পাঁঠার মাংসের পাতলা ঝোল, সরষে মুরগি, মুরগির মালাইকারির মতো পদ বাঙালির রসনা তৃপ্তির জন্য থাকছে। নিরামিষেও ঠাকুরবাড়ির রান্নার গন্ধ অমলিন রাখতে চেয়েছে সিএডিসি। তাই কাঁচাকলার কোপ্তা দিয়ে পাতুরি, কড়াইশুঁটির ধোকার ডালনা, ফুলকপির পাতুরিও মেনুকার্ড আলো করে থাকছে। পঞ্চায়েত দপ্তরের বিশেষ সচিব তথা সিএিডিসি’র কর্তা সৌম্যজিৎ দাস বলেন, মননের ঐতিহ্যের সঙ্গে আহারেও বাঙালির সুনাম বরাবরের। তাই কবিগুরু ও ঠাকুরবাড়ির বিশেষ পদ বাঙালিকে আমরা খাওয়াতে চেয়েছি। এবারের রবীন্দ্রজয়ন্তীতে এটাই আমাদের কবিগুরুকে শ্রদ্ধার্ঘ্য। পরিকল্পনার অন্যতম উদ্যোক্তা শ্রীতমা রায় বলেন, আমরা গবেষকদের লেখা থেকে কবিগুরুর পছন্দের খাবার খুঁজে এনেছি। প্রতিদিন একটি করে বিশেষ পদ আমরা পরিবেশন করব। ৬২৯০২২৫৮৫৯ ও ৮১৭০৮৮৭৭৯৪, এই দু’টি নম্বরে হোয়াটস অ্যাপ করে অর্ডার করলেই খাবার মিলবে। সংস্থার নিজস্ব বাগান ও খামার থেকেই সমস্ত উপকরণ সংগ্রহ করা হয়েছে। ফলে গুণমানের সঙ্গে কোনও আপস করা হয়নি।

‘আমসত্ত্ব দুধে ফেলি/তাহাতে কদলী দলি…’ খাবারের আস্বাদমান্যতা নিয়ে কবিগুরুর চেতনা সেই ছোটবেলাতেই বিকশিত হয়েছিল। সেই সঙ্গে পিঁপড়ার ‘কান্না’ নিয়েও আক্ষেপ কম ছিল না। একবিংশ শতকে এসে সেই কান্না মরমে উপলব্ধি করেছে সিএডিসি। তাই কবিগুরুর সাহিত্যপুষ্ট বাঙালিকে এবার তাঁর রসনাতৃপ্তির অভিজ্ঞতার সামিল করতে উদ্যোগ নিয়েছে। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Bengali Food, #CADC, #Rabindranath Tagore

আরো দেখুন