ইজরায়েলের রকেট হামলায় গাজায় নিহত ৩৫
গাজায়(Gaza) অব্যাহত মৃত্যু মিছিল। ইজরায়েলের(Iseael) ছোঁড়া বিমান ও(Violence) রকেট হামলায় ঘটনায় মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত সেখানে সেখানে শিশু সহ অন্তত ৩৫ জন প্যালেস্টাইনবাসী (Palestinians) এবং ইজরায়েলের ৩জন নিহত হয়েছে। নৃশংস এই হামলার ঘটনার দায়ভার স্বীকার করে নিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
বুধবার ভোরের দিকে কয়েকশো বিমান নিয়ে গাজার উপর হামলা চালায় ইসরায়েল। গাজার হামাস (Hamas) অধ্যুষিত উপকূলবর্তী এলাকা থেকে ইজরায়েলের দিকে রকেট হামলা চালানো হয়। এরপর সন্ধ্যার দিকে ইজরায়েলের বিমানবাহিনী গাজার উত্তরাঞ্চলে সিরিজ বিমান হামলা চালায় বলে জানা গিয়েছে।
এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, জেরুজালেমের ( Jerusalem) আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে বুধবার ভোরে আবারও ইসরায়েলি বাহিনী ঢুকে প্যালেস্টাইনসদের ওপর রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও বোমা ছোঁড়ে। এতে শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
জানা গিয়েছে, ইজরায়েলের এই বিমান হামলায় গাজার প্রচুর বহুতল ভেঙে গুঁড়িয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রচুর বাড়িঘর, মানুষজন। শুধু তাই নয়, হামাস অধ্যুষিত উপকূলবর্তী এলাকায় ইসরায়েলের দিকে রকেট হামলা চালানো হচ্ছে বারবার।
অন্যদিকে ২০১৪ সালের পর গাজার হামাসে এই প্রথম এতবড় ইজরায়েলি হামলার ঘটনা ঘটেছে। যা নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহল। গাজার বর্তমান যা অবস্থা তাতে পরিস্থিতি ক্রমশ নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে পবিত্র রমজান মাসে এই ধরনের নৃশংস হামলায় ঘটনায় দু পক্ষকেই শান্তির পরিবেশ বজায় রাখার বার্তা দিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘের মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির দূত টর ওয়েনেসল্যান্ড।
এদিন টুইট করে বলেন, “অবিলম্বে এই আগুন নিয়ে খেলা বন্ধ করুন। আমরা পুরোপুরি যুদ্ধের দিকে এগিয়ে চলেছি। এই অবস্থার দায়ভার সকল রাষ্ট্রনেতাদের নিয়ে হবে। অবিলম্বে এই অশান্তির পরিবেশ বন্ধ করুন। গাজায় এই যুদ্ধের ব্যয় ধ্বংসাত্মক এবং সাধারণ লোকেরা জীবন দিয়ে তার মূল্য চোকাচ্ছে। জাতিসংঘ শান্তিতে পুনরুদ্ধার করতে চাই। হিংসার পরিবেশ বন্ধ করুন। শান্তি ও সৌহার্দ্যের বার্তা বজায় রাখুন।”