রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

বর্ষার আগেই কাঁচা বাড়ির ‘ডেটা ব্যাঙ্ক’ তৈরি করছে রাজ্য

May 31, 2021 | 2 min read

বর্ষা কড়া নাড়ছে। আজ, সোমবারই কেরলে বর্ষা ঢুকছে বলে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গেও বর্ষা ঢুকে যাওয়া কথা। এই অবস্থায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাজ্যের প্রতিটি শহর ও গ্রামীণ এলাকায় কাঁচা বাড়ির বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে নিতে চাইছে প্রশাসন। সেই মতো পুরসভা ও পঞ্চায়েত এলাকায় সার্ভের কাজও জোরকদমে চলছে। পুরসভার ক্ষেত্রে প্রতিটি ওয়ার্ডে এবং পঞ্চায়েত স্তরে গ্রাম সংসদে তথ্য থাকার কথা। শুধু কাঁচা বাড়িই নয়, মোট বাড়ি ও বন্যা বা প্লাবনে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, এমন বাড়ির সংখ্যাটাও দেখে নিতে চা‌ইছে রাজ্য প্রশাসন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এটি অত্যন্ত সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। রাজ্যের কাছে প্রতিটি এলাকার প্রকৃত তথ্য থাকলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সুবিধা হবে। পাশাপাশি প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব দাখলে অনিয়ম হলে তা সহজেই নজরে আসছে।

পশ্চিম বর্ধমান জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তমোজিৎ চক্রবর্তী বলেন, আমাদের জেলার প্রতিটি পুরসভা ও গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। সোমবারের মধ্যে রাজ্যকে সেই রিপোর্ট পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এবার অনেক বেশি পরিকল্পিতভাবে এগতে চাইছে। ঘূর্ণিঝড় যশ মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের প্রস্তুতিতে সেই ছাপ রাজ্যবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। ঘূর্ণিঝড়ের আগে রাজ্য সরকার ঠিক করেছিল, কাঁচাবাড়ি থেকে মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনতে হবে। তাহলে প্রাণহানি ঠেকানো সম্ভব হবে। তাই প্রতিটি জেলা থেকেই হাজার হাজার মানুষকে ত্রাণ শিবিরে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পশ্চিম বর্ধমানে বিপুল ক্ষতির আশঙ্কা না থাকলেও এই জেলা থেকে ৫০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ক্ষেত্রে সেই সংখ্যাটা ছিল অনেক বেশি।

বর্ষা নিয়েও সরকারের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। ডেটাব্যাঙ্ক (Data Bank) তৈরির প্রস্তুতিতেই তা স্পষ্ট হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত যশের আগেই নেওয়া হয়েছিল। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে তা কিছুটা চাপা পড়ে গিয়েছিল। দুর্যোগ কাটতেই ফের ডেটাব্যাঙ্ক নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের প্রধান সচিব প্রতিটি জেলাশাসকের কাছে এব্যাপারে রিপোর্ট পাঠাতে বলেছেন। জেলায় কত বাড়ি রয়েছে, বন্যার ক্ষেত্রে কতগুলি বাড়ি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে এবং কতগুলি কাঁচাবাড়ি রয়েছে, তার বিস্তারিত তথ্য ডেটাব্যাঙ্কে থাকবে। তা প্রস্তুত হয়ে গেলে কোনও দুর্যোগে সেই সব এলাকায় কতগুলি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, কতজনকে নিরাপদ স্থানে সরাতে হবে, তা আগে থেকেই ঠিক করে ফেলা সম্ভব হবে। দুর্যোগের পর সহজে কেউ ঘরবাড়ি ভাঙা নিয়ে ভুল তথ্য দিতে সাহস পাবে না। দুর্গাপুর পুরসভার এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার দেবব্রত বিশ্বাস বলেন, এখানে এলাকায় আট হাজার ২৯৬টি কাঁচা বাড়ি রয়েছে। আমরা তালিকা প্রস্তুত করে নিয়েছি। সেই তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #house

আরো দেখুন