আলোচনাই হয়নি কে হবে বিজেপির ভবানীপুরের প্রার্থী?
বিধানসভা ভোটে ভরাডুবির রেশ এখনও কাটেনি। এর মধ্যেই ভবানীপুর (Bhabanipur) কেন্দ্রের উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হলে বিরুদ্ধে লড়াই করবেন কে? এই প্রশ্নে দিশাহারা অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বঙ্গ বিজেপিতে। প্রায় প্রতিদিন মোদি-অমিত শাহকে উড়িয়ে এনেও বাংলার ভোটে গেরুয়া শিবিরের বিপর্যয় বড় প্রভাব ফেলতে চলেছে উপনির্বাচনগুলিতে। বিশেষত বিজেপির প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে। দলীয় সূত্রের খবর, রাজ্য পার্টির পাঠানো চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকাতেই এবার নিয়মরক্ষার্থে আনুষ্ঠানিক সিলমোহর দিয়ে দায় সারতে পারে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
নিয়ম মতো বিজেপির রাজ্য পার্টি কোনও আসনের জন্য সম্ভাব্য বেশ কয়েকজন প্রার্থীর নাম দিল্লিতে পাঠায়। দলের শীর্ষ নেতারা কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির বৈঠকে তার মধ্যে থেকে একজনের নাম বেছে নেন। আনুষ্ঠানিকভাবে তালিকাও প্রকাশ করা হয় দিল্লি থেকেই। এ ব্যাপারে বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক তথা দলের পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘রাজ্যের উপনির্বাচনের জন্য কোনও প্রার্থীর নামই এখনও চূড়ান্ত করতে পারেনি বিজেপি। এই নিয়ে আলোচনাই হয়নি।’
বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাংলায় ২০০টি আসন জয়ের লক্ষ্যমাত্রার ধারে কাছেও পৌঁছতে না পারার দরুণ আগামী উপনির্বাচনগুলি নিয়ে বিশেষ গা ঘামাতেই চাইছেন না কেন্দ্রীয় নেতারা। নিয়মরক্ষার্থে যেটুকু করার, তা করেই দায় সারার পক্ষপাতী নেতৃত্বের বড় অংশ। বিধানসভা নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট আসনগুলিতে যাঁরা বিজেপির প্রার্থী ছিলেন, ওইসব কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তাঁরাই প্রার্থী হবেন নাকি মুখ পরিবর্তন করা হবে, তাও চূড়ান্ত হয়নি।
বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। তিনি শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছেন। উপনির্বাচন নিয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে এ নিয়ে রাজ্য বিজেপির কোনও কথা হয়নি। দলের নেতারাই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। তারপর আমার হ্যাঁ কিংবা না-এর প্রশ্ন।’ বিজেপির একটি সূত্রের ব্যাখ্যা, এই মুহূর্তে করোনা পরিস্থিতির কারণে রাজ্যে কড়া বিধিনিষেধ রয়েছে। ফলে ভোট নিয়ে মাতামাতি করলে তা গেরুয়া শিবিরের বিপক্ষে যেতে পারে। এই কথা মাথায় রেখেই আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করার জন্য উপনির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছেন দলের নেতারা।