হচ্ছে প্রতিশ্রুতি পালন, ১০ লক্ষ টাকার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার কাজ শুরু
প্রতিশ্রুতি মতো রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের পড়ুয়াদের জন্য ১০ লক্ষ টাকার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পের 9student credit card scheme) কাজ শুরু করতে চলেছে রাজ্য উচ্চশিক্ষা দপ্তর। এবারে বিধানসভা নির্বাচনের আগে পড়ুয়াদের জন্য ১০ লক্ষ টাকার ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজ্যের পড়ুয়ারা যাতে স্বাবলম্বী হতে পারে সেজন্যই এই পদক্ষেপ বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রকল্পে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রদানের কাজ শুরু হতে চলেছে। সেজন্য প্রাথমিক প্রস্তুতি চলছে। রাজ্য উচ্চশিক্ষা দপ্তর ও ডিরেক্টরেট অফ পাবলিক ইন্সট্রাকশনের ব্যবস্থাপনায় আগ্রহী ছাত্রছাত্রীরা অনলাইনে তাদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবে। ছাত্রছাত্রীদের টিউশন ফি, হস্টেল ফি, ল্যাপটপ ও কম্পিউটার কেনার জন্য টাকা দেওয়া হবে। অত্যন্ত সহজ সুদে এই অর্থ প্রদান করা হবে। শুধু তাই নয় উচ্চশিক্ষাতেও তারা এই প্রদত্ত অর্থ ব্যবহার করতে পারবে। এই পদ্ধতিকে সহজতর করে তুলতে ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে নোডাল অফিসার করা হয়েছে সহকারী রেজিস্ট্রার বিপ্লব চক্রবর্তীকে। সিস্টেম সাপোর্ট অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে শুভ্রদীপ মৈত্রকে। দুর্লভবাবু আরও বলেন, উচ্চশিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে নোডাল অফিসারদের প্রাথমিকভাবে একটি মিটিং হয়েছে। আগামী ১০ জুন এজন্য রাজ্য সরকার একটি পোর্টালও খুলতে চলেছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন পাওয়া যায়নি। পাওয়া মাত্রই আমরা সমস্ত ছাত্রছাত্রীকে তা জানিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করব। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ কলেজগুলির ছাত্রছাত্রীরা যাতে এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারে, সেই বিষয়টি আমি আন্তরিকতার সঙ্গে নজরে রাখব।
এব্যাপারে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার বিপ্লব চক্রবর্তী বলেন, রবিবার অনলাইনে রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রকল্পের জন্য নিয়োজিত নোডাল অফিসারদের ভার্চুয়াল মিটিং হবে। তখনই গোটা বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে। উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের সকল ছাত্রছাত্রীরা এই ঋণ পেতে পারে। উত্তর দিনাজপুরের মতো পিছিয়ে পড়া জেলার বহু ছাত্রছাত্রী তাদের ইচ্ছা ও মেধা থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র অর্থের অভাবে পড়াশোনা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প চালু হলে বহু ছাত্রছাত্রী উপকৃত হবে।