জালিয়াতির অভিযোগ, দক্ষিণ আফ্রিকায় জেল হল গান্ধীজীর প্রপৌত্রীর
অহিংসা এবং সততার প্রতিমূর্তি হিসেবে তাঁর প্রপিতামহকে চেনে তামাম দুনিয়া। সেই মহাত্মা গান্ধীর (Mahatma Gandhi) প্রপৌত্রী আশিস লতা রামগোবিনকেই জালিয়াতির অভিযোগে সাত বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) আদালত। ৫৬ বছর বয়সি লতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৫ সালে তিনি এস আর মহারাজা নামের এক ব্যবসায়ীকে ৬২ লক্ষ র্যান্ড (ভারতীয় মুদ্রায় ৩ কোটি ২২ লক্ষ টাকা) আর্থিক প্রতারণা করেছেন। সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন লতা। তাঁর সাত বছরের হাজতবাসের সাজা ঘোষণা করেছে ডারবানের একটি আদালত।
দক্ষিণ আফ্রিকায় নিউ আফ্রিকা অ্যালায়েন্স ফুটওয়ার ডিস্ট্রিবিউটরস নামে একটি সংস্থার ডিরেক্টর এস আর মহারাজা। পোশাক, লিনেন এবং জুতো উৎপাদন এবং আমদানি করে থাকে এই সংস্থা। তাছাড়া অন্য সংস্থাতেও বিনিয়োগ করে থাকেন মহারাজা। ২০১৫ সালের আগস্টে মহারাজার সঙ্গে দেখা করে লতা বলেন, ভারত থেকে তিনটি কন্টেনার ভর্তি লিনেন আনছেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার হাসপাতাল সংস্থা নেটকেয়ারের জন্য এই লিনেন আনা হচ্ছে। তবে আমদানি শুল্ক দিতে না পারায় তা আনা যাচ্ছে না। তিনি মহারাজাকে জানান, ৬২ লক্ষ র্যান্ড পেলে ওই কন্টেনারগুলি তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় আনতে পারবেন। এরজন্য তিনি ভুয়ো কাগজপত্র দেখিয়েছিলেন। সেই কন্টেনার ফেরানোর চুক্তি করে মহারাজার সংস্থা।
এরপর নানা সময়ে ভুয়ো কাগজপত্র দেখিয়ে মহারাজাকে বিভ্রান্ত করতে থাকেন লতা। অবশেষে জালিয়াতির বিষয়টি বুঝতে পেরে আদালতের দ্বারস্থ হন মহারাজা। প্রায় ছ’বছর আইনি লড়াইয়ের শেষে লতাকে দোষী সাব্যস্ত করে সাত বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিল ডারবানের একটি আদালত। লতার মা এলা গান্ধী একজন সমাজকর্মী। গান্ধীজির মেজ ছেলে মণিলাল গান্ধীর মেয়ে এলা প্রাক্তন সাংসদ।