কলকাতায় টিকা ভ্যাকসিন পেয়েছেন ২০ লক্ষ, চার মেট্রোয় সর্বাধিক
কলকাতায় (Kolkata) ১০ লক্ষ সুপার স্প্রেডারকে ভ্যাকসিন (Vaccine) দেওয়া হয়ে গিয়েছে। মোট ভ্যাকসিন পেয়েছেন ২০ লক্ষ মানুষ। আর ৪০ লক্ষ ভ্যাকসিন পেলে কলকাতার সমস্ত মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হবে। ফলে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই কমে যাবে বলে আশা করছেন কলকাতার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।
গত মঙ্গলবার পরিসংখ্যানে দেখা দিয়েছে, গত ছ’মাসের মধ্যে ওইদিন সংক্রমণের সংখ্যা সবচেয়ে কম ছিল, মাত্র ৩২৩। যা রাজ্য সরকার এবং পুরসভার কাছে একটা অত্যন্ত স্বস্তিদায়ক তথ্য। ভোটের পরে ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) কলকাতা পুরসভার প্রথম দায়িত্ব নেন ৪ মে। সেদিন কলকাতায় করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ৪,২৪০। ঠিক একমাস আগে ৮ মে সংখ্যাটা ছিল ৪,১৯৭। গত সাতদিনে করোনা সংক্রমণ ক্রমেই কমছে। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে পাওয়া হিসেবে বেশ খুশি ফিরহাদ হাকিম। খুশি পুরসভার অন্য কর্তারাও।
তবু, আত্মতুষ্টি নয়, করোনা (Covid19) সংক্রমণ ঠেকাতে পুরসভার তরফে কোনওরকম ঢিলেমি তাঁরা চান না। ফিরহাদ হাকিম মনে করেন, প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ মানা হচ্ছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। চলছে টিকাকরণ। করোনার প্রকোপ ও সংক্রমণ হ্রাসের এটাই মূল কারণ।
পুর প্রশাসক বলেন, সুপার স্প্রেডার হিসেবে চিহ্নিত হকার, পরিবহণ কর্মী, সব্জি বিক্রেতা প্রভৃতির টিকাকরণে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। তাঁদের টিকাকরণ চলছে জোর কদমে। এর জন্য একটি বাস শহরের ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে দাঁড়িয়ে ভ্যাকসিন দিচ্ছে। পোস্তা বাজারে ইতিমধ্যেই ওই বাসের মাধ্যমে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। ওই বাসটির মাধ্যমে একদিনে ৪০০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব। আমাদের আরও একটি বাস রেডি আছে। কিন্তু চাহিদামতো ভ্যাকসিন না-পাওয়ার কারণে আমরা সকলের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছে দিতে পারছি না।
১৪৪টি ওয়ার্ডের হেল্থ সেন্টারে ভ্যাকসিন দেওয়া চলছে। এছাড়া ১৬টি মেগা সেন্টার রয়েছে। দ্বিতীয় ঢেউয়ের শুরুতে এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনায় সংক্রমণের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এই রোগীদের সাধারণভাবে কলকাতার বড় বড় হাসপাতাল বা নার্সিংহোমেই আনা হয়। সেখানে তাঁরা মারা গেলে কলকাতায় মৃতের তালিকাটা লম্বাই হয়ে যায়।
পুরসভার হিসেবে, কলকাতায় ৯০ লক্ষ মানুষের বসবাস। ১৮ ঊর্ধ্ব সকলকে ধরলে কমপক্ষে ৬০ লক্ষ মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে হবে। কিন্তু চাহিদামতো ভ্যাকসিন আসছে না। তাই চেষ্টা নিয়েও সকলকে তা দিয়ে ওঠা যায়নি। আপশোস ফিরহাদ সাহেবের।