আন্তর্জাতিক বিভাগে ফিরে যান

বর্ষাকালে ভাসানচরে থাকতে নারাজ রোহিঙ্গা শরণার্থীরা

June 10, 2021 | 2 min read

শিয়রে বর্ষাকাল। মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে শীঘ্রই নামবে আকাশভাঙা বৃষ্টি। এহেন পরিস্থিতিতে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ভাসানচরে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা।

সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরেব বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ভাসানচরে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘Human Rights Watch’ (HRW)। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে যে বর্ষাকালে কিছুতেই ভাসানচরে থাকতে চাইছেন না শরণার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ, প্রবল বৃষ্টি ও ঝড়ে দ্বীপটির পরিকাঠামো ভেঙে পড়তে পারে। প্রবল বন্যায় ভেসে যেতে পারে ঘরবাড়ি। এছাড়া, প্রয়োজনীয়ও চিকিৎসা ব্যবস্থাও নেই। সেক্ষত্রে এই জায়গায় বাস করা মানে বিপদ ডেকে আনা। শরণার্থীদের নিয়ে HRW’র ডিরেক্টর বিল ফ্রেলিক বলেন, “দশ লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় ডিটে গিয়ে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারকে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে তাদের জোর করে কোনও বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এমনটা করলে নতুন সমস্যা দেখা দেবে। আন্তর্জাতিক মঞ্চের উচিত রোহিঙ্গাদের মদত করা। পাশাপাশি, ভাসানচর থেকে মূল ভূখণ্ডে যাঁরা ফিরতে চাইছেন, তাঁদের যেন সেই অনুমতি দেয় বাংলাদেশ এটাও নিশ্চিত করতে হবে।”

এদিকে, নিউ ইয়র্ক স্থিত হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর রিপোর্ট নিয়ে ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ। এই বিষয়ে বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন সাফ বলেন, “আমরা বিত্তশালী দেশ নই। তবু সাধ্য মতে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। এর বেশি আর আমরা কিছু করতে পারব না। কিন্তু ওদের দেশ (আমেরিকা) অনেক ধনী ও উন্নত। তাদের যদি এতোই সমবেদনা থাকে তাহলে তারাই শরণার্থীদের নিয়ে যাক।” উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে ভাসানচরে রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধি দলের সফর চলাকালীন তুমুল বিক্ষোভ দেখায় কয়েক হাজার রোহিঙ্গা (Rohingya) শরণার্থী। তাদের দাবি, সমুদ্রের মাঝে এই বিচ্ছিন্ন দ্বীপে থাকতে চায় না তারা। প্রশাসন জানিয়েছে, দ্বীপটিতে শরণার্থীদের থাকার জন্য পর্যাপ্ত পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। এপর্যন্ত প্রায় ১৮ হাজার রোহিঙ্গাকে সমুদ্রের মাঝে বিচ্ছিন্ন দ্বীপটিতে পাঠানো হয়েছে। মোট ১ লক্ষ শরণার্থীকে ভাসানচরে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে ঢাকার। তবে ঝঞ্ঝাপ্রবণ দ্বীপে শরণার্থীদের পাঠানো নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মঞ্চ। কিন্তু হাসিনা প্রশাসনের কথায়, নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা খরচ করে এক লক্ষ রোহিঙ্গার জন্য ভাসানচরে উন্নতমানের আবাসস্থল তৈরি করা হয়েছে। সেখানে প্রত্যেক পরিবারের জন্য আলাদা ঘর, আধুনিক স্যানিটারি পদ্ধতি, বিশুদ্ধ খাবার জল, স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য হাসপাতাল ও ক্লিনিং এবং বাচ্চাদের শিক্ষাদানের জন্য সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Rohingya, #Bangladesh

আরো দেখুন