রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

ধান ক্রয় ও খাদ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে আজ মমতার বৈঠক

June 14, 2021 | 2 min read

 খাদ্যদপ্তরের কাজকর্ম পর্যালোচনা করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আজ সোমবার নবান্নে এক বৈঠকে বসছেন। কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা ও খাদ্যসাথী প্রকল্প (রেশন ব্যবস্থা) নিয়ে বৈঠকটি হবে। খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের (Rathin Ghosh) পাশাপাশি থাকবেন বনমন্ত্রী (প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী) জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriyo Mallick) ও পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। অফিসার পর্যায়ে থাকবেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদি ও আরও কয়েকটি দপ্তরের সচিবরা এবং কৃষিদপ্তরের পরামর্শদাতা প্রদীপ মজুমদার।  ভার্চুয়ালি থকবেন জেলাশাসক ও খাদ্যদপ্তরের সচিবালয় ও জেলা পর্যায়ের অফিসাররা।


খাদ্যসাথী (Khadya Sathi) এবং কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দুয়ারে রেশন এগিয়ে নিয়ে যেতে একটি টাস্ক ফোর্স গড়া হয়ছে। ওই কর্মসূচি চালানোর ব্যাপারেও সরকার কিছু সিদ্ধান্ত নেবে। রেশন গ্রাহকদের আধার সংযুক্তিকরণ ও অনলাইনে তা যাচাই করার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে খাদ্যদপ্তর চালু করেছে। কয়েক মাসের মধ্যে গ্রাহকদের বাধ্যতামূলকভাবে আধার নম্বর সংযোগ করতে বলা হয়েছে। কিন্তু অনলাইনে আধার যাচাই করতে গিয়ে জেলাগুলিতে কিছু সমস্যা হচ্ছে। নতুন রেশন কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েও আলোচনা হতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে ‘এক দেশ এক রেশন ব্যবস্থা’ অবশ্যই কার্যকর করতে হবে। কেন্দ্রের এই প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ সহ চারটি রাজ্যে শুধু চালু হয়নি। 


এই রেশন ব্যবস্থা নিয়ে কিছু নির্দিষ্ট কারণে রাজ্যের আপত্তি আছে। কারণ শুধু পশ্চিমবঙ্গে সম্পূর্ণ রাজ্যের খরচে  ৪ কোটির বেশি মানুষকে খাদ্য সরবরাহ করা হয়। জাতীয় প্রকল্পের ৬ কোটি গ্রাহকের জন্যও অতিরিক্ত ভর্তুকি দেয় রাজ্য।


অন্যাদিকে, দ্বিতীয় পর্যায়ে কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। এখনও খুব বেশি কেনা হয়নি। সরকারি স্থায়ী কেন্দ্রগুলি মারফতই কেনা হচ্ছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪০ লক্ষ টন চলতি সরকার কিনেছে। লক্ষ্যামাত্রা ৪৬ লক্ষ টন। কিন্তু এফসিআই-কে ৬ লক্ষ টন ধান কিনতে রাজ্য বললেও ওই কেন্দ্রীয় সংস্থা এখনও ৫০ হাজার  টনও কেনেনি। তাই রাজ্য ৪৬ লক্ষ টনের বেশি ধান কিনবে কি না সেই সিদ্ধান্ত এবার নবান্নকে নিতে হবে। সরকারি সংগ্রহ মূল্যে কম ধান কেনা হচ্ছে, এই অভিযোগে কিছু জায়গায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য সম্প্রতি গলসিতে কয়েকটি রাইস মিল বন্ধও হয়ে গিয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Mamata Banerjee, #Nabanna, #Khadya Sathi

আরো দেখুন