রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

ভোট পর্বে ভিন রাজ্যের বিজেপি নেতাদের হোটেলের খরচ শুনলে চমকে উঠবেন

June 22, 2021 | 2 min read

ভোট মরশুমে দক্ষিণ কলকাতার এক অভিজাত হোটেল ও দু’টি গেস্ট হাউসে থাকা-খাওয়ার বিল বাবদ প্রায় আড়াই কোটি টাকা খরচ করেছে বিজেপি (BJP)। এছাড়াও কলকাতায় এলে নিউটাউনের ‘ওয়েস্ট ইন’ হোটেলে উঠতেন অমিত শাহ এবং জে পি নাড্ডা। পাঁচতারা সেই হোটেলের ৩৪ তলায় নির্দিষ্ট স্যুট বুক থাকত তাঁদের নামে। সেখানেই চলত রাতভর মিটিং। তার জন্য আবার আলাদা করে মেটাতে হয়েছে হল ভাড়া। সঙ্গে এলাহি খাওয়াদাওয়া। একইভাবে বাইপাসের ধারে ‘আইটিসি সোনার’ হোটেলে (Hotel) উঠতেন একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও ভিন রাজ্যের মন্ত্রীরা। সব মিলিয়ে এই দু’টি পাঁচতারা হোটেলে মেটাতে হয়েছে আরও কয়েক কোটি।

ভোটের আগে এজেসি বোস রোডে ‘হোটেল হিন্দুস্থান ইন্টারন্যাশনাল’ ৫০ দিন বুক করে রেখেছিল বিজেপি। ভিন রাজ্যের প্রথম সারির নেতাদের জন্য সেখানে ৪৫টি বিলাসবহুল রুম টানা ৫০ দিনের জন্য বুক করা হয়েছিল। প্রতিটি রুমের ভাড়া ছিল দিনে প্রায় চার হাজার টাকা। এই খরচ শুধু থাকার জন্য। খাওয়া-দাওয়া ও আমোদ-প্রমোদের খরচ আলাদা। এছাড়াও সেই হোটেলের সুইমিং পুলের পাশে নতুন করে মিডিয়া সেন্টার তৈরি করেছিল গেরুয়া পার্টি। সেই মিডিয়া সেন্টারের দৈনিক ভাড়া ২৫ হাজার টাকা। পাশাপাশি ওই নেতাদের সহযোগী ও নিরাপত্তা রক্ষীদের বিলও আলাদা করে মেটাতে হয়েছে দলকে। সব মিলিয়ে এই খাতে দিনে প্রায় দু’লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। তুলনায় ছোট নেতা কিংবা প্রভাবশালীদের সঙ্গীদের জন্য দু’টি গেস্ট হাউস ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। এক্সাইড মোড়ের কাছে অভিজাত ‘চৌধুরী গেস্ট হাউস’-এ ২০টি ঘর ভাড়া নিয়েছিল তারা। সেখানে প্রতিটি রুমের দৈনিক ভাড়া প্রায় দু’হাজার টাকা। এছাড়াও বড়বাজারে বিজেপি’র এক প্রাক্তন জেলা সভাপতির আরও একটি গেস্ট হাউস ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। ১৬০০ টাকা করে প্রতি ঘরের দৈনিক ভাড়া ছিল সেটির। সব মিলিয়ে এই দু’টি গেস্ট হাউসে খাওয়া-থাকা মিলিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৯৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে অভিজাত হোটেলে জীবনযাপনের সঙ্গে অভ্যস্ত নই। তবে মনে হয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যে সব হাইপ্রোফাইল নেতা-মন্ত্রী বিধানসভা ভোটের সময় বিভিন্ন দায়িত্ব নিয়ে এসেছিলেন, তাঁরা হয়তো এমন বিলাসবহুল জীবনে অভ্যস্ত। তবে আমি বিশ্বাস করি, বিজেপি’র অধিকাংশ নেতা ও কর্মী সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত। আমি নিজে দলীয় কর্মীর বাড়িতে রাত কাটাই, সেখানেই খাই। তবে শুনেছি, বিধানসভা ভোটের জন্য কয়েকটি হোটেল দীর্ঘদিন ভাড়া নেওয়া হয়েছিল।’ ভোটে ভালো ফলের জন্যই হয়তো এই বিপুল পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল। সেই বিনিয়োগ কি জলে গেল? জবাবে দিলীপবাবু বলেন, ‘২০১৬ সালের ভোটের তুলনায় এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ২৮ শতাংশ ভোট বেড়েছে বিজেপি’র। তাই দল ব্যর্থ, এটা বলা যায় না। উল্লেখ্য, ভোট পর্বে কলকাতা ও জেলাগুলিতে একাধিক হোটেল ভাড়া নিয়েছিল বিজেপি। এই হোটেল খাতে খরচ দেখভাল করতে রাজস্থান থেকে এসেছিলেন রাজেশ মঙ্গল। তিনি নিজে বেশ কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে উঠেছিলেন বাইপাসের ধারে ‘আইটিসি সোনার’-এ।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal Assembly Elections 2021, #hotels, #bjp

আরো দেখুন