করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সহায়তা পেতে ভারতে ট্যুইট বেড়েছে ১৯৫৮ শতাংশ
কোভিডের (COVID19) সঙ্গে মোকাবিলায় সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) ভূমিকা খুবই উল্লেখযোগ্য। হাসপাতালের ফাঁকা বেড হোক বা অক্সিজেন সিলিন্ডার, সব কিছুরই হদিশ মিলেছে একটি ট্যুইট (Tweet) বা পোস্টে। এছাড়া, সচেতনতামূলক প্রচার তো রয়েছেই। সামজিক মাধ্যমের কুফলের কথা মাথায় রেখেও, এগুলিকে কোনওভাবে অস্বীকার করা যায় না। ট্যুইটার একটি চমকপ্রদ তথ্যে জানিয়েছে, দেশে চিকিৎসাজনিত সহায়তা চেয়ে বা দিতে চেয়ে এপ্রিল-মে দু’মাসে ট্যুইট বেড়েছে ১৯৫৮ শতাংশ। কোভিড সংক্রান্ত ট্যুইট বেড়েছে ৬০০ শতাংশ।
অনুদান তোলার ক্ষেত্রেও যথেষ্ট সহায়ক হয়েছে ট্যুইটার। এই সময়কালে ফান্ড রেইজিং সংক্রান্ত ট্যুইট বেড়েছে ৭৩১ শতাংশ। কোভিড সংক্রান্ত তথ্য পেতে নেটিজেনরা এই সময়কালে ৯১৬ শতাংশ ট্যুইট। মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সহায়তার ক্ষেত্রেও ট্যুইটারে ভরসা বেড়েছে ১৫৩ শতাংশ। ট্যুইটার ইন্ডিয়ার এক সূত্র জানিয়েছেন, কোভিড মোকাবিলায় বহু নতুন ফিচার চালু করেছিল সংস্থা। তার সুফল অনেকটাই মিলেছে। কোভিডের প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে দ্বিতীয় ঢেউয়ে (COVID Second Wave) ট্যুইট তাই বহুলাংশে বেড়েছে। শুধু তাই নয়, রোগটির ভয়াবহতা এবং মারণক্ষমতাও যে এই সময়ে বেড়েছে, এই ঘটনা সেদিকেও ইঙ্গিত করে।
চিকিৎসা সংক্রান্ত ট্যুইটকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করেছে সংস্থাটি। তার মধ্যে রক্ত দিতে বা নিতে চেয়ে ফেব্রুয়ারি-মার্চের তুলনায় এপ্রিল-মে সময়কালে ৭২ শতাংশ বেশি ট্যুইট হয়েছে। প্লাজমা সংক্রান্ত ট্যুইট হয়েছে ৮৩৪ শতাংশ বেশি। এওএস অর্থাৎ, আপৎকালীন বার্তা ট্যুইট হয়েছে ১৫২ শতাংশ বেশি। ইতিমধ্যে টিকাকরণ কর্মসূচিও গতি পেয়েছে। তাই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সেই সংক্রান্ত ট্যুইটও। টিকা কোথায় পাওয়া যাবে, সেই তথ্য পাওয়ার জন্য হ্যাশট্যাগ দিয়ে ট্যুইট হয়েছে ২৪৬ শতাংশ বেশি। দেখা গিয়েছে, চিকিৎসকেরা এই সময়ে ৫০ শতাংশ বেশি ট্যুইট করেছেন এবং এটা খুবই উল্লেখযোগ্য তথ্য বলে মনে করছে ট্যুইটার ইন্ডিয়া।
কোভিড সংক্রান্ত নির্ভরযোগ্য তথ্য দিতে ট্যুইটারের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ও (WHO)। তারা বিভিন্ন ইভেন্ট পেজের মাধ্যমেও তথ্যাদি শেয়ার করেছে ট্যুইটার ব্যবহারকারীদের সঙ্গে। ট্যুইটার রীতিমতো কোভিড হেল্পলাইন হিসেবে কাজ করেছে এই সময়ে। ভুয়ো ট্যুইটও খতিয়ে দেখে ডিলিট করে দিয়েছে সংস্থাটি। যতটা পেরেছে, ভুয়ো তথ্য পাওয়ার হাত থেকে ব্যবহারকারীদের রক্ষা করেছে। প্রসঙ্গত, আরেক সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুকও কোভিড সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহে বহু পদক্ষেপ করেছে। ফেসবুক পোস্টেও অনেকে অনেক সহায়তা পেয়েছেন তা আর্থিক হোক বা চিকিৎসাজনিত হোক। তবে, এই সংস্থার তরফে সুসংহত তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি ডেটিং অ্যাপ টিন্ডারও মনোচিকিৎসকদের ফ্রি অ্যাপয়েন্টমেন্ট করিয়ে দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছে। যে কোনও সামাজিক মাধ্যমই কোভিডের নির্মম সত্যকে অস্বীকার করতে পারেনি বা চায়ওনি। তাই, সবক্ষেত্রে যে সামাজিক মাধ্যমকে দায়ী করা হয়, তা ঠিক নয়, এমনটাই মনে করছেন নেটিজেনরা।