বাংলাদেশের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, মৃত কমপক্ষে ৫০
ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড বাংলাদেশে। একটি কারখানায় লাগা আগুনে মৃত কমপক্ষে ৫০। গুরুতর আহত অনেকেই। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু করেছে দমকল ও পুলিশ।
দমকল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানী ঢাকার কাছে রূপগঞ্জে একটি খাবার তৈরির কারখানায় ভয়াবহ আগুন লাগে। খাবার তৈরির জন্য তেল ও অন্য দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তে লেলিহান শিখা গ্রাস করে কারখানাটিকে। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারিদিক। আগুনে পুড়ে ও দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় অন্তত ৫০ জন মানুষের। আহত হয়েছেন অনেকেই। প্রায় ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও ভবনটিতে আগুন জ্বলছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি মৃতদেহ উদ্যজার করতে সক্ষম হয়েছেন দমকল কর্মীরা। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠনো হয়েছে। এই ঘটনায় রীতিমতো কেঁপে উঠেছে গোটা দেশ। প্রশ্নের মুখে পড়েছে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা।
জানা গিয়েছে, আগুনের হাত থেকে বাঁচতে অনেকেই কারখানার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে বাঁচার চেষ্টা করে গুরুত্বর জখম হয়েছেন। এদের অনেককেই স্থানীয় হাসপাতালের পাশাপাশি ঢাকা মেডিক্যাল-সহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জ জেলার উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, ” আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল তবে আজ ভোরের দিকে, সকালে আবার ছড়িয়ে পড়ে। আমরা কাজ করছি। লাশের সংখ্যা জানানো হবে পরে।”
শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কর্ণগোপ এলাকায় ‘সেজান জুস’ কারখানায় প্রায় সাত হাজার শ্রমিক কাজ করেন। সাততলা ভবনে থাকা কারখানাটির নিচতলার একটি ফ্লোরে থেকে হঠাৎ আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এক পর্যায়ে আগুন পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কালো ধোঁয়ায় কারখানাটি অন্ধকার হয়ে যায়। আগুন থেকে বাঁচতে শ্রমিকরা ছোটাছুটি করতে শুরু করে। কেউ কেউ ভবনের ছাদে উঠে পড়ে। আবার কেউ কেউ ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়তে শুরু করে। আব্দুল আল আরেফিন জানিয়েছেন, ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। পুরোটাই পুড়ে গেছে কারখানার, আগুনের সূত্রপাত নিশ্চিত নয়, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও অনেক।