কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

মাস্কহীন পর্যটকদের রেয়াত নয়, দীঘা-মন্দারমণিতে ধরপাকড়

July 16, 2021 | 2 min read

মাস্ক (mask) ব্যবহার না করলে এবার ধরপাকড় চালানোর নির্দেশ দিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিস। পর্যটন কেন্দ্রে বেশি করে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন পুলিস সুপার অমরনাথ কে। সেইমতো গত কয়েকদিন ধারাবাহিকভাবে দীঘা, দীঘা (Digha) মোহনা কোস্টাল এবং মন্দারমণি (Mandarmani) কোস্টাল থানার পুলিস মাস্কহীন দেখলেই আটক করে নিয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার দীঘা থানার পুলিস ২৬জন পর্যটককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। প্রত্যেককে জরিমানা ধার্য করা হয়। শুধু পর্যটনকেন্দ্র নয়, গোটা জেলার বিভিন্ন থানা এলাকাতেই মাস্ক না পরায় ধরপাকড় অব্যাহত। পুলিস সুপার বলেন, মাস্ক ব্যবহার না করলে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। দীঘা সহ পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে এনিয়ে বেশি করে নজরদারি রয়েছে।

উত্তর ২৪পরগনার গাইঘাটা থানার শশাডাঙা গ্রামের শুকদেব হালদার, ওই থানার বাঁশপোতা গ্রামের সুব্রত সরকার সহ ১৭জনের একটি দল বৃহস্পতিবার দীঘায় আসেন। তাঁদের অধিকাংশই মাস্ক পরেননি। দীঘা থানার পুলিস শুকদেব, সুব্রত সহ টিমের চারজনকে আটক করে। একইভাবে মেচেদার তাহালা গ্রামের সঞ্জিত সাউ, পশ্চিম বহলা গ্রামের চিরঞ্জিত দাস, বিরাটির রাজু বিশ্বাস, গোপাল পোদ্দার সহ অনেকেই দীঘা বেড়াতে এসে মাস্ক ব্যবহার না করায় থানায় যেতে হয়। একদিনেই এরকম ২৬জন পর্যটককে আটক করে পুলিস।

পাঁশকুড়া, কোলাঘাট, ময়না, তমলুক, নন্দকুমার ও মহিষাদল সহ সর্বত্র মাস্ক না পরার বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। দিনকয়েক আগে তমলুক কোর্ট চত্বরে জেলা জজের নির্দেশে মাস্ক না পরা আইনজীবী থেকে মুহরি, বিচারপ্রার্থীদের আর্থিক জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি পুলিসের পক্ষ থেকে ধারাবাহিক অভিযান চলছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। আক্রান্তের হার ৩২শতাংশ থেকে কমে ১.৫শতাংশে নেমেছে। এই পরিস্থিতিকে হাল্কাভাবে নেওয়ার খেসারত দিতে হতে পারে। তাই গোটা জেলায় কোভিডবিধি বজায় রাখতে পুলিস ও প্রশাসন সক্রিয়। তারই অঙ্গ হিসেবে দীঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর ও মন্দারমণিতে পর্যটকদের হোটেলে ওঠার ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের ডবল ডোজের শংসাপত্র অথবা করোনা পরীক্ষা রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এরফলে দীঘা, মন্দারমণিতে পর্যটক সংখ্যা কিছুটা কমেছে। অনেকেই বুকিং বাতিল করেছেন। কিন্তু, আগামী দু’মাস সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত বলে জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি স্পষ্ট জানান।

করোনা মোকাবিলায় বিধি খানিকটা শিথিল হলেও আগামী ৩০জুলাই পর্যন্ত সেটা বাড়ানো হয়েছে। যেকারণে কোভিডবিধি মান্যতার উপর জোর দিয়েছে প্রশাসন ও পুলিস। বিশেষ করে বাইরে থেকে লোকজন এসে যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না দেয় তার উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। সেকারণেই পর্যটন কেন্দ্রে কড়াকড়ি নোটিস ইস্যু করেছে প্রশাসন। পাশাপাশি প্রতিদিন গড়ে প্রায় সাড়ে তিন হাজার জনের করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। বুধবার গোটা জেলায় র‌্যাপিড এবং আরটিপিসিআর মিলিয়ে মোট তিন হাজার ৪৭৯জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৪৮জনের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। করোনা মোকাবিলায় জেলায় অনেক জায়গায় দৈনিক হাটবাজার বসার উপর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#mask, #Digha, #Mandarmani

আরো দেখুন