কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

অবশেষে কাটতে চলেছে মানিকতলা বিধানসভার জট! কার জন্যে হচ্ছে না উপনির্বাচন?

April 30, 2024 | 2 min read

২০২১ বিধানসভার মানিকতলা আসনের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: অবশেষে বিজেপির পরাজিত প্রার্থী কল্যাণ চৌবে মানিকতলা বিধানসভার প্রয়াত সাধন পাণ্ডের বিরুদ্ধে দায়ের করা ইলেকশন পিটিশন তুলে নেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন। প্রায় দু’বছর ধরে এই সংক্রান্ত মামলা চলছিল। সোমবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে শুনানিতে অংশ নেন কল্যাণ।

প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার পরেই ইলেকশন পিটিশন প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন ২০২১ বিধানসভার মানিকতলা (Maniktala) আসনের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে (Kalyan Chaubey। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে কল্যাণের আইনজীবী মামলা প্রত্যাহার করার কথা জানান। যদিও ব্যক্তিগত কারণে তাঁর মক্কেল ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান কল্যাণের আইনজীবী। যদিও বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত ওই আবেদন এখন মঞ্জুর করেনি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৯ মে ।

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর ভোটের ফলকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন করেন কল্যাণ। মানিকতলার তৎকালীন বিধায়ক সাধন পান্ডের বিরুদ্ধে তিনি নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলেন। প্রায় দু’বছর ধরে হাইকোর্টে ওই মামলাটি চলছে। কল্যাণের অনীহার কারণে হাইকোর্টে ওই মামলার শুনানি বার বার পিছিয়ে যাচ্ছে এই অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলা দায়ের করা হয়।

গত সপ্তাহে শীর্ষ আদালত কল্যাণকে তীব্র ভর্ৎসনা করে। মামলায় মনোযোগ দেওয়ার কারণে তাঁকে কেন অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে না তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত। কমিশন সূত্রের খবর, মানিকতলা বিধানসভার ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে করা মামলা প্রত্যাহার করা হলেও এখন আর ভোট সম্ভব নয়। ৯ মে এই বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, শীর্ষ আদালত তাঁকে শোকজ নোটিস পাঠানোর পরেই ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কল্যাণ।

রাজ্যের দুটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, শনিবার এমনটাই ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে রয়েছে মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা, যেখানে তৃতীয় দফায় উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সপ্তম দফায় উপনির্বাচন হবে বরানগরে। ২০২২ সালে মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সাধন পাণ্ডের মৃত্যু হয়। কোনও কেন্দ্রে বিধায়কের ইস্তফা বা মৃত্যুর কারণে যদি সেখানে শূন্যতা তৈরি হয় সেক্ষেত্রে ছয় মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করতে হবে। কিন্তু সাধন পাণ্ডের কেন্দ্রের তাঁর প্রয়ানের পর উপনির্বাচন করা যায়নি কল্যানের করা মামলার জন্য।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#bjp, #supreme court, #tmc, #calcutta high court, #West Bengal Assembly Election 2021, #Maniktala, #Kalyan Chaubey, #election petition

আরো দেখুন