দেশ বিভাগে ফিরে যান

মোদী- শাহ গোটা দেশে ২০০২ সালের গুজরাত মডেল চালাচ্ছে: ডেরেক

July 29, 2021 | 2 min read

ত্রিপুরার রাজনীতিতে ক্রমশই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে তৃণমূল (TMC)। বৃহস্পতিবার সকালেই আগরতলায় পৌঁছছেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন (Derek O’Brien)। তার কিছুক্ষন পরেই সাংবাদিক বৈঠক করেন, ডেরেক ও’ ব্রায়েন, ব্রাত্য বসু, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, মলয় ঘটকরা। ডেরেক বলেন, ‘২০০২- এর গুজরাত মডেল গোটা দেশে আরোপ করছেন মোদী- শাহ। আমি এবং সাংসদ কাকলি ঘোষ দোস্তিদার সংসদ অধিবেশন ছেড়ে এখানে ছুটে এসেছি। আমাদের দল বলেছে এটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এখন ত্রিপুরায় হচ্ছে কাল গোটা দেশে হবে। সংসদেও একই ঘটনা ঘটছে। কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না।’

ডেরেক আরও বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন ট্যাপ করা হয়েছে। সিবিআই, ইডি লাগিয়ে, ফোন ট্যাপ করেও বাংলায় জিততে পারেনি বিজেপি।’

ডেরেক এদিনের বৈঠকে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ‘আমি এসেছি এখানে। ১০০ জন পুলিশ এসেছে বিমানবন্দরে। আমি কি আতঙ্কবাদী? আমি তো সাংসদ।’

সাংবাদিকদের কোভিড বিধি নিয়েও সতর্কও করেন ডেরেক। তিনি বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কাল আসবে। আপনারা কোভিড বিধি মেনে চলবেন। মোদী- শাহ যখন বাংলায় নির্বাচন করতে এসেছিলেন করোনা সংক্রমণ ১৬% থেকে বেড়ে ৩৩% হয়ে গেছিল। মুখ্যমন্ত্রী সেটাকে অনেক কষ্টে ২%- তে নিয়ে এসেছেন।

তিনি আরও বলেন, সব বিরোধী নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে দেখা করে বলছেন যে তারা পাশে আছেন।

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই ত্রিপুরা গিয়েছেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের প্রতিনিধিরা। সমীক্ষার কাজে তাঁরা ত্রিপুরা গিয়েছেন বলেই খবর। তাঁদের আগরতলার একটি হোটেলে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। অভিযোগ, আইপ্যাকের প্রতিনিধিরা কোভিডবিধি লঙ্ঘন করেছেন। যদিও, পিকের দলের প্রতিনিধিদের বুধবারই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে মহামারী আইনে মামলা রুজু করেছে ত্রিপুরার প্রশাসন। এ নিয়ে সরব হয়েছেন খোদ তৃণমূলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লিতে বসেই ত্রিপুরার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। মমতার বক্তব্য, ত্রিপুরায় গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে। যেভাবে পিকের টিমের সদস্যদের আটকে রাখা হয়েছে তা মেনে নেওয়া যায় না। বুধবার বাংলার মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, মন্ত্রী মলয় ঘটক এবং ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরায় যান। বিমানবন্দরেই তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছিল বলে খবর। পরে অবশ্য তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তৃণমূল প্রতিনিধিদের হেনস্তারও প্রতিবাদ করেছেন মমতা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Derek O Brien, #Narendra Modi, #Amit shah

আরো দেখুন