রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

কেন্দ্রের আর্থিক সাহায্যও পায় না রাজ্য, অভিযোগ মমতার

August 4, 2021 | 2 min read

বুধবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সঙ্গে ফোনালাপে ডিভিসির (DVC) বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতিকে ‘ম্যান মেড’ (ManMade) বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এ বার প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়ে সমস্ত বিষয় উল্লেখ করে সুরাহা চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিতে তিনি জানান, ডিভিসির ইচ্ছে মতো জল ছাড়ার কারণেই ২০১৫, ২০১৭, ২০১৯ সালের পর আবার এই বছর রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হল।


চিঠিতে মমতা জানান, নিম্নচাপের কারণে বিগত কয়েক দিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডে টানা বৃষ্টি হয়ে চলেছে। আর এই সময়ে মাইথন, পাঞ্চেত ও তেনুঘাট জলাধার থেকে প্রায় দু’লাখ কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি, যার জেরেই রাজ্যের হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ১৬ জনের প্রাণহানি ছাড়াও লাখ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা বিপর্যস্ত।

২০১৫ সালের বন্যার সময়েও মোদীর কাছে ডিভিসির সংস্কার, পলি পরিষ্কার এবং ডিভিসির জলধারণ ক্ষমতা ১.২ লক্ষ একর ফুট বাড়ানোর আবেদন করেছিলেন মমতা। সেই বিষয়টিও চিঠিতে উল্লেখ করেন মমতা। পলি পরিষ্কার করে পাঞ্চেত জলাধারের জল ধারণ ক্ষমতা ১০ কোটি কিউবিক মিটার এবং মাইথন বাঁধে একটি গোলাকৃতি জলাধার বানিয়ে জল ধারণ ক্ষমতা ১২ কোটি কিউবিক মিটার বাড়ানোর আবেদন সেই সময়ে করেছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের বালপাহাড়ির কাছে ষষ্ঠ বাঁধ নির্মাণেরও দাবি জানিয়েছিলেন। এই বিষয়গুলি চিঠিতে উল্লেখ করে মমতা জানান, রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকরা তো বটেই, তিনি নিজে এ বিষয়ে বার বার উদ্যোগী হওয়া সত্ত্বেও কেন্দ্রের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।

চিঠিতে মমতা জানান, ডিভিসির জলাধারে দীর্ঘদিন ধরে পলি পড়া এবং রক্ষণাবেক্ষণে গাফিলতির কারণেই সেগুলির জল ধারণ ক্ষমতা দিনে দিনে কমেছে। তার জন্যই বার বার বাংলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এরই সঙ্গে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে বঙ্গোপসাগরে ঘন ঘন নিম্নচাপ সৃষ্টি এবং লাগাতার ভারী বর্ষণ তো রয়েছেই।

আগামী দিনে বন্যা পরিস্থিতি রুখতে চিঠিতে দীর্ঘমেয়াদি সুরাহার দাবি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সেই সঙ্গে বাঁধগুলির সংস্কার, জলাধারগুলির জলধারণ ক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি। পাশাপাশি জল ছাড়ার আগে যাতে প্রশাসনকে জানানো হয়, সে বিষয়টিও নিশ্চিত করার দাবি জানান মমতা।

ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং ‘মনুষ্য-সৃষ্ট’ বন্যার কারণে ক্ষত-বিক্ষত বাংলা। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের থেকে পর্যাপ্ত আর্থিক সাহায্য রাজ্য সরকার পাচ্ছে না বলে ফের প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Mamata Banerjee, #Narendra Modi, #dvc

আরো দেখুন