দেশ বিভাগে ফিরে যান

সকালেই গ্রেপ্তার দেবাংশুরা, ত্রিপুরায় আসছেন অভিষেকসহ ৩ হেভিওয়েট নেতা

August 8, 2021 | 2 min read

সারারাত অবরুদ্ধ রেখে রবিবার সকালে খোয়াইতে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বকে গ্রেফতার করেছে ত্রিপুরা পুলিশ। টুইট করে এ কথা জানালেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। গতকাল থেকেই তৃণমূলের তিন নেতার ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। রাতে শেষ পাওয়া পর্যন্ত খবরে থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছিল তিন তৃণমূল নেতা সুদীপ রাহা, দেবাংশু ভট্টাচার্য ও জয়া দত্তকে। আর আজ সকালে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দবি তৃণমূলের। সব মিলিয়ে যুব তৃণমূলের ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি আশিসলাল সিংহ। বৃহস্পতিবারের হামলার ঘটনার প্রতিবাদে রাতভর কর্মসূচি চালান তাঁরা।

সকালেই আগরতলার উদ্দেশে রওনা হয়েছে কুণাল ঘোষ ও ব্রাত্য বসু। অন্য বিমানে আজই ত্রিপুরা যাবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, প্রয়োজন হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ত্রিপুরা যাবেন।

রবিবার তৃণমূল নেতা সুদীপ রাহা টুইটে জানিয়েছেন, সকালে তাঁদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি লিখেছেন, ‘রাতে বিজেপির গুণ্ডামি। ভোরে পুলিশের! আমাদের গ্রেফতার করে টেনে হিঁচড়ে খোয়াই থানায় নিয়ে যাচ্ছে ত্রিপুরার খোয়াই জেলা পুলিশ। এক ইঞ্চি জমিও বিজেপিকে ছাড়া হবে না। আমরা এই গুণ্ডামির শেষ দেখে ছাড়ব।’ গতকাল হামলার ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন সুদীপ। ইটের আঘাতে তাঁর মাথা ফেটে যায়। সাংগঠনিক কাজে যাওয়ার সময় কেউ বা কারা তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছুড়েছিল বলে অভিযোগ।

তৃণমূলের দাবি, বিজেপি ভয় পেয়েছে বলেই এমনটা করছে। আজ সকালে বিমানবন্দরে রওনা হওয়ার সময় কুণাল ঘোষ বলেন, ত্রিপুরার পরিস্থিতি খুব খারাপ। আমাদের সহকর্মীরা কাল সারারাত অবরুদ্ধ ছিল। গুন্ডারা তাদের ফেরার রাস্তা অবরোধ করে রেখেছিল। আমাদের একাধিক পার্টি অফিস ভাঙা হয়েছে, ফ্লেক্স ব্যানার ছেড়া হয়েছে। আমরা যে হোটেলগুলোতে থাকি সেখানে গিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে যাতে আমাদেরকে হোটেলে থাকতে না দেওয়া হয়।’ তিনি আরও জানান, বেশি রাতে প্রত্যেকটি ট্রাভেল এজেন্সিকে হুমকি দেওয়া হয়েছে যাতে গাড়ি না দেওয়া হয়। ত্রিপুরা যাওয়ার আগে দোলা সেন বলেন, ‘আমাকেও গ্রেফতার করা হতে পারে।’ ব্রাত্য বসুর কথায়, ‘ত্রিপুরায় গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। কী ভাবে ত্রিপুরায় বিরোধীদের ওপর জুলুমবাজি করা হচ্ছে, তা দেখে বোঝা যাচ্ছে ত্রিপুরা রাজ্য বিজেপি ভয় পাচ্ছে। আমরা গণ আন্দোলন করা লোক। আমাদের মেরে ধরে ধমকিয়ে চমকে আটকানো যাবেনা।’ প্রয়োজনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে যাবেন বলে উল্লেখ করেছন ব্রাত্য।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#tripura, #abhishek banerjee, #tmc, #Sudip Raha, #Debangshu Bhattacharya, #Jaya Dutta, #tripura police

আরো দেখুন