বিপ্লবকে এড়াতেই আলাদা বিমানে ফিরলেন ত্রিপুরা বিজেপির সভাপতি? শুরু জল্পনা
ত্রিপুরায় উত্থান হচ্ছে তৃণমূলের। আর এই উত্থানকে চেপে দিতে গিয়ে চাপে পরে দিল্লি গিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব৷ তবে একা বিপ্লব দেব নন, ত্রিপুরা বিজেপি-র সভাপতি মানিক সাহাকেও (Manik Saha) দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিলেন বিজেপির (BJP) শীর্ষ নেতৃত্ব। অনুমান করা হয়েছিল, সুদীপ রায় বর্মন গোষ্ঠীর চাপে এবার মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার থেকে সরানো হতে পারে বিপ্লব দেবকে। সুদীপের সাম্প্রতিক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তেমন ইঙ্গিতও মিলেছিল।
এদিকে, শুক্রবার আলাদা বিমানে ত্রিপুরায় ফিরে মানিক সাহা জানালেন, এখনই মুখ্যমন্ত্রী বদলের কোনও পরিকল্পনা নেই। বরং বিপ্লব দেবই দায়িত্বভার নিয়ে থাকবেন বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। ফলে একদিকে যেমন ত্রিপুরায় বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল আরও মাথাচাড়া দেওয়ার আশঙ্কা দেখা দিল, তেমনি তৃণমূলও বিপ্লব দেবকে নিশানা করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পথেই রইল।
২০২৩ সালে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিপ্লব দেব মন্ত্রিসভায় রদবদলও আসন্ন বলে একটি সূত্রের মত৷ তবে, সেই রদবদলে বিপ্লব দেবের নাম থাকার সম্ভাবনা নেই বলেই ত্রিপুরা বিজেপি সূত্রে খবর। তবে, ত্রিপুরায় তৃণমূলের উত্থানের বিষয়টি নিয়েও দিল্লিতে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
বিপ্লব দেবের দিল্লি সফর নিয়ে অবশ্য আগেই ত্রিপুরার বিজেপি মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী দাবি করেছিলেন, ‘আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরার উন্নয়নের স্বার্থেই মাসে দু’ থেকে তিন বার দিল্লিতে যান৷ যদিও এবার তাঁর দিল্লি সফরের প্রকৃত কারণ আমরাও জানি না৷’ তবে, সূত্রের খবর, প্রভাবশালী সুদীপ রায় বর্মন গোষ্ঠীর সঙ্গে বিপ্লব দেবের সংঘাতের কারণেই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল দিল্লিতে। সুদীপ রায় বর্মনের দলত্যাগ ও তৃণমূলে যোগদান নিয়ে সরগরম হয়েই আছে ত্রিপুরায়। এই পরিস্থিতিতে যেভাবে বিপ্লব দেবকেই মুখ্যমন্ত্রী পদে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি, তাতে অন্তর্দ্বন্দ্ব ফের মাথাচাড়া দেওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
অপরদিকে, গোটা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে এবছর ১৬ অগস্ট ‘খেলা হবে দিবস’ পালনের কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। সেই তালিকায় আছে ত্রিপুরার নামও। তারই পাল্টা হিসেবে এবার খেলা হবে দিবসের দিনে ত্রিপুরায় আশির্বাদ দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। দুই দলের দুই কর্মসূচি ঘিরে ত্রিপুরায় ফের অশান্তি ছড়ায় কিনা, সেটাই এখন দেখার।