তালিবান-রাজ শুরু হতেই নাম বদলাচ্ছে আফগানিস্তানের
রবিবার সকালে দক্ষিণের জালালাবাদ দখলের পরই দুপুরের মধ্যে কাবুল দখল করে তালিবানরা (Taliban)। ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে আলোচনার জন্য প্রেসিডেন্টের বাসভবনে গিয়েছিল তালিবান সংগঠনের একটি প্রতিনিধি দল। প্রায় ৪৫ মিনিট বৈঠক হয়। তার পরই পদত্যাগ করেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরফ গনি। পদত্যাগের পরই সে দেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, নিজের কোর টিম নিয়ে আফগানিস্তান ত্যাগ করেছেন তিনি। কাবুলে হামলা হবে না, এই শর্তে তালিবানের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে আফগানিস্তান সরকারের।
তালিবানের হাতে ইতিমধ্যেই ক্ষমতার হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ওই পর্ব চলাকালীন সে দেশে সরকার চালাবেন প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আলি আহমেদ জালালি। অর্থাৎ, ওই আফগানিস্তানের (Afghanistan) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হতে চলেছেন তিনিই। শীঘ্র আফগানিস্তান মুসলিম আমিরশাহির ঘোষণা হবে কাবুলের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ থেকে। সংবাদ মাধ্যমে এমনটাই জানিয়েছেন এক তালিবান নেতা।
প্রেসিডেন্ট আশরফ গনির (Ashraf Ghani) পদত্যাগের পর খবর মিলেছিল, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের মধ্য দিয়েই আফগানিস্তানে ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলবে। এ বার সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দুই তালিবান নেতা জানিয়েছে, আফগানিস্তানে কোনও রকম অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হবে না। ক্ষমতার পূর্ণ হস্তান্তরই চায় তারা।
আশরফ গনি দেশ ছাড়়তেই প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ দখল নিয়েছে তালিবান। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে, কাবুল শহরের ঠিক বাইরেই কারাবাঘ এলাকায় তালিবানি আক্রমণের জেরে জখম হয়েছেন ৪০ জনের বেশি। শীঘ্র আফগানিস্তান মুসলিম আমিরশাহির ঘোষণা হবে কাবুলের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ থেকে। সংবাদ মাধ্যমে এমনটাই জানিয়েছেন এক তালিবান নেতা।
প্রেসিডেন্ট আশরফ গনির পদত্যাগের পরই আফগানিস্তানে কার্যত তালিবান রাজত্ব শুরু গিয়েছে। সেই সঙ্গে আফগানিস্তান ত্যাগ করে ভারতে চলে এসেছেন সে দেশের বেশ কয়েক জন সাংসদ ও সরকারি আধিকারিকেরা।