দেশ গঠন লক্ষ্য ছিল না, আফগানিস্তান নিয়ে সাফাই বাইডেনের
আফগানিস্তান (Afghanistan) ইস্যুতে তোপের মুখে মার্কিন (United States) প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। এই অবস্থায় নীরবতা ভাঙলেন তিনি। সোমবার বিকেলে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি স্পষ্ট জানালেন, ৯/১১ হামলায় আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে খতম করাই আমেরিকার মূল লক্ষ্য ছিল। এক দশক আগেই তা পূর্ণ হয়েছে। এখন আর যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া অর্থহীন। এর পরেই আফগানিস্তান থেকে সেনা সরানো নিয়ে বাইডেন বলেন, যা আশঙ্কা করেছিলাম, তার থেকেও দ্রুত পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। আফগান সেনা তালিবানদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চায়নি। তাই মার্কিন সেনাও সেই যুদ্ধে অংশ নিতে পারে না এবং নেবে না।
আফগানিস্তানের রাজনৈতিক নেতারা হাল ছেড়ে দিয়েছেন এবং দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। আরও বলেছেন, ২০ বছর আগে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা ওখানে গিয়েছিলাম। ৯/১১-তে যারা হামলা করেছিল তাদের খতম করেছি। আফগানিস্তানকে ব্যবহার করে আল কায়দা যাতে আবার আমাদের উপর হামলা চালাতে না পারে তা নিশ্চিত করেছি। এবং তা এক দশক আগেই সম্পূর্ণ। কোনও দেশকে গড়ে দেওয়া আমাদের লক্ষ্য ছিল না। আফগানিস্তানের দায়ভার পরবর্তী কোনও প্রেসিডেন্টের উপর চাপাতে চান না জানিয়ে তাঁর ব্যাখ্যা, এনিয়ে চতুর্থ প্রেসিডেন্টের আমলে আফগান যুদ্ধ চলছে। দু’জন ডেমোক্র্যাট ও দু’জন রিপাবলিকান এই দায়ভার বহন করেছেন। পঞ্চম প্রেসিডেন্টের ঘাড়ে এই দায় চাপাতে চাই না। আমার সঙ্গেই এই বিতর্কের ইতি হোক।
যদিও, আফগানিস্তানের পরিস্থিতির জন্য বাইডেনের উপরই দায় চাপিয়েছেন ট্রাম্প। তাঁর অভিযোগ, প্রেসিডেন্টের জন্যই আফগানিস্তানের আজ এই পরিণতি। সেনা প্রত্যাহারের কাজ সাফল্যের সঙ্গে করতে না পারার কারণেই তার চরম খেসারত দিতে হচ্ছে আফগানিস্তানের নিরীহ নাগরিকদের। একের পর এক ব্যর্থতার জন্য নৈতিক দায় স্বীকার করে তাই অবিলম্বে প্রেসিডেন্টকে ইস্তফা দিতে হবে। বাইডেনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন আফগানরাও। হোয়াইট হাউসের সামনে প্রতিবাদ জানান অসংখ্য আফগান নাগরিক। তাঁদের মুখে স্লোগান ছিল— ‘বাইডেন, আপনি বিশ্বাসঘাতক’, ‘আফগানিস্তানের এই দুর্দশার জন্য আপনিই দায়ী।’