মমতাকে ভারতের দ্বিতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী দেখতে চান অখিল গগৈ
একুশের নির্বাচনে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে বাংলার কুর্সিতে বসার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং হয়েছে, দেশ নিজের মেয়েকে চায়, বাঙালি প্রধানমন্ত্রী চাই–সহ নানা কথা। জাতীয় রাজনীতির অলিন্দেও বিরোধী মুখ হয়ে উঠেছেন ফায়ার ব্র্যান্ড লেডি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চেয়ে নেটদুনিয়ায় সওয়াল করেছেন নেটিজেনরা। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী করার লক্ষ্যে সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। এবার মমতাকে ভারতের দ্বিতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইলেন অসমের রাজৌর দলের নেতা অখিল গগৈ (Akhil Gogoi)।
অসম থেকে এই দাবি ওঠায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারণ শিলচরের নেয়ে একদা কংগ্রেস নেত্রী সুস্মিতা দেব যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তাতে অসম কংগ্রেসে ধস নেমেছে। এবার এক সংবাদপত্রকে অখিল গগৈ বলেন, ‘অসমে আগামীদিনে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের জোট কেমন হবে তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে রাজনৈতিক বোঝাপড়া হলে ভালো হবে। মোদী–শাহের ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করা উচিত।’
এদিকে গগৈ দাবি করেছেন, অসমে রাজৌর দলের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসকে একত্রিত করার প্রস্তাব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে অসমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের সঙ্গে নির্বাচনী জোটের ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে। সুস্মিতা দেব ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, যে দায়িত্বই দেওয়া হবে তিনি তা যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করবেন। জানা গিয়েছে, অসমের দায়িত্বই তাঁকে দেওয়া হবে। তাম মধ্যেই অখিলের দাবি নতুন সমীকরণের জন্ম দিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি শিবসাগরের বিধায়ক দাবি করেছিলেন, অসমে তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তাঁকে। সিএএ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা অখিল গগৈ। আর সংশোধিত নাগরিকত্ব ইস্যুতে অন্যতম বিরোধী মুখ তৃণমূল কংগ্রেস। সুতরাং বিজেপি শাসিত অসমে সংগঠন বিস্তার হতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বলে মনে করা হচ্ছে।