২৩টি জেলার কর্মচারী সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্বের সাথে বৈঠক করবেন পার্থ
লক্ষ্য সরকারি কর্মচারীদের (West Bengal Government Employees) মন ধরে রাখা। প্রতিনিয়ত কাজ করতে গিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা কেমন। তা বুঝতে এবার নজর দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। আগামিকাল ২৪ অগাস্ট বিধানসভায় নিজের কক্ষে ২৩টি জেলার কর্মচারী সংগঠনের সভাপতি ও রাজ্য নেতৃত্বের সাথে বৈঠক করবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)।
দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakhsmi Bhandar Scheme)। কন্যাশ্রী (Kanyashree) থেকে সমব্যথী। রাজ্য সরকার একাধিক সামাজিক প্রকল্প চালু করেছে। চালু হওয়া এই প্রকল্পের সুবিধা যাতে সহজেই সমাজের সর্বস্তরের মানুষ পেতে পারেন সেদিকেও নজর রয়েছে রাজ্য সরকারের। আর সে কারণেই জোর দেওয়া হয়েছে ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পে। আর এই গোটা কার্যাবলী সম্পন্ন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। তাই সরকারি কর্মচারীদের অভিজ্ঞতা জানতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস৷ তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা শুনেই দলের তরফে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হতে পারে প্রকল্প রুপায়ণে। তাই দলের সরকারি কর্মচারী সংগঠনের নেতা ও প্রতিনিধিদের নিয়ে এই বৈঠক ডাকা হয়েছে।
শুরুর দিন থেকেই ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের শিবিরে ভিড় উপচে পড়েছে। প্রশাসনিক মহলের খবর, রাজ্যে উপভোক্তাদের চাহিদার নিরিখে শীর্ষ স্থানে আছে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। প্রায় ৫০ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে। রাজ্য সরকার সূত্রে খবর, সবচেয়ে বেশি ভিড় হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায়। তারপর ভিড়ের লড়াইয়ে আছে মুর্শিদাবাদ ও উত্তর ২৪ পরগণা জেলা। গোটা রাজ্যের বিভিন্ন শিবির থেকে প্রায় ১৮টি প্রকল্পে আবেদনের সুযোগ রেখেছে রাজ্য সরকার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে। এই সব প্রকল্পকে সমাজের একেবারে নীচু স্তর অবধি পৌছে দিতে একদিকে আশা কর্মী, অন্যদিকে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের ও কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় থাকা ছাত্রীদেরও ব্যবহার করা হচ্ছে৷
এ বার সরকারি কর্মচারীদের থেকে সেই অভিজ্ঞতা জানতে চায় শাসক দল। গোটা পরিস্থিতি জানতেই তাদের সাথে আগামীকাল বৈঠক করবেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, “নির্বাচনে দেওয়া প্রতিশ্রুতি মতো মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্প শুরু করে দিয়েছেন। সব জায়গায় বিভিন্ন স্তরের সরকারি কর্মচারীরা এই দায়িত্ব পালন করছেন। তাই তাদের অভিজ্ঞতা জানতেই ফেডারেশনের রাজ্য ও জেলার নেতাদের সাথে মত বিনিময়ের কথা ভাবা হচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, দল ছেড়ে যাওয়ার আগে দীর্ঘ সময় এই সংগঠনের দেখভাল করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বিজেপিতে চলে যাওয়ার আগে বেশ কিছু সাংগঠনিক রদবদল হয়। নতুন করে সাজানো হবে কর্মচারী সংগঠন। রাজ্য বা জেলা স্তরে কোথাও এখনও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়নি৷ জেলা কমিটির সভাপতি মনোনীত হলেও রাজ্য স্তরে এখনও তা হয়নি৷ এই সব বিষয়ও গুরুত্ব পাবে এই আলোচনায়। রাজনৈতিক মহলের মতে, পুরভোটের আগে এই পর্যালোচনা এবং মত বিনিময় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। বিধানসভা ভোটে অবশ্য তৃণমূলকে ভোট বাক্সে সমর্থন জুগিয়েছেন সরকারি কর্মচারীরা।