‘বাড়িতেই থাকুন’ আফগান মহিলাদের কাজে না যাওয়ার ফতোয়া তালিবানিদের
বাড়িতেই থাকুন। কাজে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। কর্মরত আফগান মহিলাদের এমনই ফতোয়া জারি করল তালিবান। যে আশঙ্কা আগেই প্রকাশ করেছিলেন আফগানিস্তানের (Afghanistan) চাকরিজীবী মহিলারা, সেটাই যেন সত্যি হল!
আফগানভূমে নতুন করে তালিবানি শাসন শুরু হলে মহিলাদের জীবনে ‘নরক যন্ত্রণা’ নেমে আসবে। আগেভাগেই এমন আতঙ্কে শিউরে উঠেছিলেন তাঁরা। নারী স্বাধীনতা বলে কিছুই থাকবে না। বাড়ির বাইরে পা রাখা থেকে কাজ করা, সবেতেই জারি হবে কড়া নিষেধাজ্ঞা। যদিও সেই জল্পনার মাঝেই খানিকটা অবাক করেই তালিবান ঘোষণা করেছিল, মহিলাদের (Afghan Women) শিক্ষা, নিরাপত্তা এবং ব্যক্তি স্বাধীনতার দিকে বিশেষ জোর দেওয়া হবে। উচ্চশিক্ষা কিংবা চাকরির ক্ষেত্রেও বাধার সম্মুখীন হতে হবে না তাঁদের। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই শোনা গেল উলটো সুর। কর্মক্ষেত্রে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে মহিলাদের।
তালিবানের (Taliban Terror) দাবি, এই নিদান সাময়িক। বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিচার করে মহিলাদের নিরাপত্তার খাতিরেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তালিবান মুখপাত্র জবিউল্লা মুজাহিদ মঙ্গলবার বলে, দেশে যতদিন না নিরাপত্তা সন্তোষজনক হচ্ছে, ততদিন বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে মহিলাদের। মহিলা সরকারি কর্মীরা যাতে নিশ্চিন্তে কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে পারেন, তার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। তবে আপাতত তাদের বাড়িতে থাকতেই বলা হয়েছে। সঙ্গে তিনি এও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, শরিয়তি আইনে (Islamic Law) মহিলাদের চাকরি করতে কিংবা বাড়ির বাইরে গিয়ে কাজ করতে কোনও বাধা নেই। আর সেই কারণেই মহিলা কর্মীদের আটকানো হবে না। কিন্তু তাদের আশ্বাস কতখানি বিশ্বাসযোগ্য, তা নিয়ে সন্দিহান আফগানি মহিলারাই।
এদিকে, নর্দার্ন অ্যালায়েন্সে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে অত্যাচারের মাত্রা আরও বাড়াচ্ছে তালিবান। বাঘলান প্রদেশের আন্দারাব উপত্যকায় নির্বিচারে শিশু ও মহিলাদের হত্যা করছে তালিবান জঙ্গিরা বলে খবর। শুধু তাই নয়, নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের বিদ্রোহী বাহিনীর গুলির মুখে শিশু ও সাধারণ মানুষকে ঢাল হিসেবেও ব্যবহার করছে জঙ্গিরা। সব মিলিয়ে এখনও ভয়ংকর পরিস্থিতি আফগানিস্তানে।