বেড়েই চলেছে সংক্রমণ, সমালোচনার মুখে কেরল সরকার
রাজ্যে করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য সরাসরি কেরল সরকারের নীতির সমালোচনায় সরব বিরোধী শিবির। শুধু বিরোধীরাই নয়, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও সরকারের সিদ্ধান্তকে ‘ভুল’ ও ‘খামখেয়ালি’ তকমা দিয়ে তীব্র ভর্ৎসনা করেছেন। বর্তমানে দেশের মোট করোনা আক্রান্তের মধ্যে ৭০ শতাংশই কেরলের। গত বুধবারের মতো এদিনও রাজ্যে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজারের উপরেই থেকেছে। যার ফলে সার্বিকভাবে দেশের মোট আক্রান্তের সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টায় একলাফে ১১ হাজার বেড়েছে।
বিদেশ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ভি মুরলীধরণ কেরলের উদ্বেগজনক করোনা পরিস্থিতির জন্য রাজ্য সরকারের উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন। তাঁর দাবি, রোগ প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরিবর্তে রাজ্যের বাম সরকার মোপলাহ দাঙ্গার বার্ষিকী উদযাপনে ব্যস্ত থেকেছে। দিল্লিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘করোনার পরিবর্তে উৎসবকেই অগ্রাধিকার দিয়েছে রাজ্য সরকার।’ একই সুর শোনা গিয়েছে কংগ্রেস বিধায়ক রমেশ চেন্নিথালার গলাতেও।
রাজ্যবাসীর কাছে এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেও দাবি করেছেন কংগ্রেস বিধায়ক। কেরলের প্রখ্যাত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ এস এস লাল কোভিড সামলাতে সরকারের পদক্ষেপগুলিকে ‘বোকা বোকা’ তকমা দিয়ে তোপ দেগেছেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে পরাজিত এই চিকিৎসক বলেন, ‘কোভিড সংক্রান্ত তথ্য গোপন করছে রাজ্য সরকার। পর্যাপ্ত তথ্য না থাকায় বর্তমান কোভিড পরিস্থিতির বিশ্লেষণ করতে পারছি না আমরা।’
এরই মধ্যে বাড়িতে করোনার সংক্রমণ ছড়ানোর বিষয়টিকে রুখতে রাজ্যবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ। একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষাকে উদ্ধৃত করে তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে রাজ্যের ৩৫ শতাংশ করোনা রোগীই বাড়ি থেকে সংক্রামিত হয়েছেন। মন্ত্রীর পরামর্শ, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা রোগীরা যাতে কোনওভাবেই নিজের ঘরের বাইরে না বেরন, তা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া বাড়িতেও সকলকে মাস্ক পরে থাকারও নিদান দিয়েছেন তিনি।
এদিকে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী গোটা দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে এদিন কেন্দ্রকে একহাত নিয়েছেন। দেশবাসীর উদ্দেশে কিছুটা শ্লেষের সুরেই তিনি বলেছেন, ‘দয়া করে সবাই নিজেদের খেয়াল রাখুন। কারণ সরকার এখন সবকিছু বিক্রি করতে ব্যস্ত।’