সারা দেশে কমলেও আগস্ট মাসে জিএসটি আদায় বেড়েছে বাংলায়
জিএসটি আদায় (GST Collection) বাড়ছে বাংলায় (Bengal)। গোটা দেশের মধ্যেই জিএসটি সংগ্রহের ক্ষেত্রে বাংলায় ভূমিকা ইতিবাচক। আগস্ট মাসে গোটা দেশে জিএসটি সংগ্রহের রিপোর্ট অনুযায়ী ১ লক্ষ ১২ হাজার কোটি টাকা আদায় হয়েছে। যা জুলাই মাসের তুলনায় ৪ হাজার কোটি টাকা কম। কিন্তু স্বস্তির বার্তা যে আবার ১ লক্ষ কোটি টাকার বেশি মাপকাঠিতে জিএসটি আদায়ের অঙ্ক ফিরে এসেছে। জুন মাসে যে অঙ্কটি নেমে গিয়েছিল ৯২ হাজার কোটিতে। সেটি জুলাই মাসে আবার ঘুরে দাঁড়ায় এবং ওই মাসে আদায়ের পরিমাণ ছিল ১ লক্ষ ১৬ হাজার কোটি টাকা। আশা করা হয়েছিল আগস্ট মাসের বাণিজ্যিক আদানপ্রদান এবং শিল্প সক্রিয়তা বৃদ্ধির জেরে সেই সীমা ছাপিয়ে যাবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সেটা হয়নি। বরং ৪ হাজার কোটি টাকা কম আদায় হয়েছে। আর্থিক বছরের শুরুতেই জিএসটি আদায়ের রেকর্ড স্পর্শ করে অর্থনীতিকে তুমুল আশা জুগিয়েছিল। এপ্রিল মাসে জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ ছিল ১ লক্ষ ৪১ হাজার কোটি টাকা। এরপরই চরম আকার ধারণ করে কোভিড সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। পুনরায় রাজ্যে রাজ্যে লকডাউন শুরু হয়। থমকে যায় অর্থনীতির স্বাভাবিক ছন্দ। তারই পরিণাম ছিল জুন মাসে বিপুল জিএসটি সঙ্কোচন। কিন্তু জুলাই মাসে সেই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ায় আর্থিক লেনদেন।
উল্লেখযোগ্যভাবে, জুলাই মাসের তুলনায় আগস্ট মাসে জিএসটি পরিসংখ্যানে সামগ্রিক সংগ্রহ কম হলেও, পশ্চিমবঙ্গের জিএসটি সংগ্রহ কিন্তু বেড়েছে। জুলাই মাসে পশ্চিমবঙ্গে জিএসটি সংগ্রহ হয়েছিল ৩৪৬৩ কোটি টাকা। আগস্ট মাসে তা বেড়ে হয়েছে ৩৬৭৮ কোটি টাকা। বৃদ্ধির পরিমাণ ২১৫ কোটি টাকা। বিগত বছরের তুলনায় জুলাই মাসে বাংলার জিএসটি আদায় ছিল ১৫ শতাংশ বেশি। আগস্ট মাসে আরও বেড়ে হয়েছে ২০ শতাংশ বেশি। প্রসঙ্গত, দেশের মধ্যে জিএসটি আদায়ের অঙ্ক সাধারণত বেশি হয় মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, গুজরাত, কর্ণাটকে। কারণ জিএসটি পরিভাষায় এই রাজ্যগুলি উৎপাদক রাজ্য। অর্থাৎ এই রাজ্যগুলিতে শিল্পোৎপাদনের হার বেশি। সেই নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ উৎপাদনকারী রাজ্য নয়। তা সত্ত্বেও আর্থিক তথা বাণিজ্যিক লেনদেনের সক্রিয়তা গত দু’মাস ধরেই বেড়েছে। আর তার ফলশ্রুতি এই জিএসটি সংগ্রহ বৃদ্ধি। চলতি মাস থেকেই শুরু হয়ে যাবে উৎসবের মরশুম। বিগত বছর অক্টোবর থেকেই জিএসটি সংগ্রহের অঙ্ক ১ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়ে করোনাকালে অর্থনীতির কিছুটা মন্দা কেটে যওয়ার আভাস দেখা দিয়েছিল। এবার একমাত্র কাঁটা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ। সেটা না হলে উৎসব মরশুমে জিএসটি সংগ্রহ রেকর্ড করবে বলে আশা অর্থমন্ত্রকের।