কলকাতা হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হলেন কৌশিক চন্দ, কটাক্ষ অভিষেকের
কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করা হল কৌশিক চন্দকে (Kausik Chanda)। যে বিচারপতি মাসখানেক আগে নন্দীগ্রাম মামলা সরে গিয়েছিলেন। একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তাঁকে স্থায়ী বিচারপতি করার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম।
নন্দীগ্রামের ভোটের ফলকে চ্যালেঞ্জ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়ের করা ইলেশন পিটিশনের শুনানি কি বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাস থেকে সরানোর জন্য হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী৷ বিচারপতি কৌশিক চন্দ বিজেপি ঘনিষ্ঠ, এই যুক্তি দেখিয়ে তাঁকে স্বেচ্ছায় এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর আর্জি জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি৷
বিচারপতি কৌশিক চন্দের উপরে কেন তাঁরা আস্থা রাখতে পারছেন না, গত ২৪ জুন প্রায় এক ঘণ্টা সওয়াল করে তা ব্যাখ্যা করেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি৷ সেই শুনানিতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷ ওই দিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রায় দান স্থগিত রেখেছিলেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ৷
একটি ছবি তুলে ধরে বিচারপতির রাজনীতিগত অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন এবং তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। অভিযোগ তোলা হয় হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র বিজেপি ঘনিষ্ঠ। আর সেই কারণেই নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগের প্রমাণ স্বরূপ ট্যুইটারে একটি ছবিও পোস্ট করেছেন ডেরেক। বিজেপির একটি সভার দুটি ছবি পোস্ট করে ডেরেক প্রশ্ন তোলেন, ‘ছবিতে যাঁকে গোল করে চিহ্নিত করা হয়েছে, ইনি কে? ইনি কি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ?’ এরপর এই বিচারপতির এজলাসে কেন নন্দীগ্রাম মামলা দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ডেরেক সহ তৃণমূলের একাংশ। সেই ছবিগুলির একটিতে দিলীপ ঘোষের পাশে বসে থাকা একজনকে গোল করে চিহ্নিত করা। অপর ছবিটিতে, দিলীপ ঘোষ ভষণ দিচ্ছেন, সেখানে একজন বসে থাকা ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা।
সেই ছবিই আজকে আবার তুলে ধরেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি টুইট পোস্ট লেখেন, ‘দুঃখজনক পরিস্থিতি। নতুন ভারতবর্ষ।’