কাবুলে আইএসআই প্রধান, পাক-আফগান বৈঠক নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
পাক (Pakistan) গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধান ফয়েজ হামিদ শনিবারই পৌঁছে গিয়েছেন আফগানিস্তানে (Afghanistan)। এবার তিনি দেখা করলেন আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ারের সঙ্গে। আগামী সপ্তাহেই আফগানিস্তানে সরকারের ঘোষণা করতে পারে তালিবান (Taliban)। মনে করা হচ্ছে, তার আগেই সেবিষয়ে আলোচনা হয়েছে এই দু’জনের বৈঠকে।
গত কয়েকদিন ধরেই তালিবানের সরকার গড়া নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। শোনা গিয়েছিল, শুক্রবারই হয়তো নমাজের পরে সরকারের ঘোষণা করা হবে। কিন্তু তা হয়নি। পরে জানা যায়, আরও দু’-চারদিনের আগে সরকার গঠিত হবে না। সরকার গঠন নিয়ে এত টালবাহানার পিছনে তালিবানের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কাজ করছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। সম্ভবত সেই জট ছাড়াতেই এদিনের বৈঠক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এক আফগান ওয়েব পোর্টালের দাবি তেমনই।
উল্লেখ্য, গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার গত শতকের নয়ের দশকে দু’বার আফগানিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। তবে সেদেশের রাজনীতিতে এখনও গুরুত্ব হারাননি প্রবীণ নেতা। বিশেষ করে তালিবানের নয়া সরকারের বিষয়ে তাঁর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে গত শনিবারই আফগানিস্তানে এসেছেন ফয়েজ। সূত্রানুসারে, পাকিস্তানের সঙ্গে আফগানিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ ও অর্থনৈতিক-বাণিজ্যিক চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতেই তিনি হাজির হয়েছেন কাবুলে। সেই কারণে উচ্চপদস্থ তালিবান নেতাদের সঙ্গেও দেখা করেছেন তিনি।
নতুন সরকার গঠনের আগেই তালিবান সংসারের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়া নিয়ে হাক্কানি (Haqqani) গোষ্ঠী এবং কান্দাহারের মোল্লা ইয়াকুব গোষ্ঠীর মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। যা সরকার গঠনের আগেই অস্বস্তিতে ফেলেছে তালিবানকে। তালিবানের সেনাবাহিনীর দায়িত্বে রয়েছে মোল্লা ইয়াকুব গোষ্ঠী। নতুন সরকারের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা। কিন্তু হাক্কানি গোষ্ঠী সেখানে নিজেদের প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠছে।
শুধু হাক্কানি বা ইয়াকুব গোষ্ঠীই নয়, একে একে তালিবানের অন্য গোষ্ঠীগুলিও নিজেদের অধিকার নিয়ে সরব হতে শুরু করেছে। আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে তালিবানের শীর্ষনেতারা।