মান্নান কিংবা সুজন – বাম কংগ্রেস শিবিরের দাবি ভবানীপুরে প্রার্থী হিসেবে
ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেবে কংগ্রেস ৷ প্রার্থী দেবে বামেরাও৷ সিদ্ধান্ত নাকি হয়ে গিয়েছে, শুধু প্রার্থী পাওয়া বাকি৷
রাজনৈতিক মহলের স্পষ্ট বক্তব্য, কংগ্রেস বা বামেদের হাতে রেডি দু’জন প্রার্থীরয়েছেMaনa নাম ঘোষণা করে দিলেই তো হয়৷ খামোকা দেরি করছে ওই দুই দল৷
একুশের ভোটে দু’জনই প্রার্থী হয়েছিলেন৷ ভিন্ন দলের হলেও তাঁরা ছিলেন সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী৷ একজন সুজন চক্রবর্তী, সিপিএমের বড় নেতা৷ যাদবপুরের বিধায়ক ছিলেন৷ একুশের ভোটে ওই কেন্দ্রেই প্রার্থী হয়েছিলেন৷ তৃণমূল প্রার্থীর কাছে হেরেছেন প্রায় ৪০ হাজার ভোটে৷ ফলে এখন ফাঁকা আছেন৷ ভবানীপুরে প্রার্থী হতেই পারেন, প্রার্থী হওয়ার সব যোগ্যতা ওনার আছে৷
দ্বিতীয়জন কংগ্রেসের, মোর্চার হয়ে একুশের ভোটে লড়েছিলেন হুগলির চাঁপদানি কেন্দ্র থেকে৷ গত বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা ছিলেন৷ কংগ্রেসের বড় নেতা৷ নাম আবদুল মান্নান৷ চাঁপদানি কেন্দ্রে বিজয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী৷ মান্নান সাহেব ১২% ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে শেষ করেন৷ বিজয়ী প্রার্থীর সঙ্গে মান্নান সাহেবের প্রাপ্ত ভোটের ফারাক ছিল প্রায় ৮০ হাজার৷ আবদুল মান্নান এখন ফাঁকা আছেন৷ প্রদেশ কংগ্রেস ভবানীপুরে প্রার্থী দেবে বলে দিয়েছে৷ যদিও ওই দলের হাই কম্যাণ্ড প্রদেশের এই দাবি আদৌ মনবে কি’না সন্দেহ৷ তবে যদি কংগ্রেস প্রার্থী দেয় সেক্ষেত্রে ওই দলের সেরা প্রার্থী হতেই পরেন আবদুল মান্নান৷ সুজনবাবুর মতোই প্রার্থী হওয়ার সব যোগ্যতা ওনারও আছে৷ রাজনৈতিক মহলের ধারনা, উপনির্বাচনে মোর্চা প্রার্থী হিসেবে এই দু’জনের একজন অথবা যদি মোর্চার মধ্যে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ লড়াই হয় তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যোগ্য প্রার্থী হতে পারেন সুজন চক্রবর্তী এবং আবদুল মান্নান৷ ভবানীপুরে ‘জবরদস্ত’ লড়াই দিতে এনারা পারবেন বলেই রাজনৈতিক মহল আশাবাদী৷ ওই কেন্দ্রে বাম ও কংগ্রেস কর্মী- সমর্থক- ভোটাররাও চাইছেন প্রার্থী হোন সুজন অথবা মান্নান অথবা দু’জনই৷
লড়াইটা দেখার মতো হত৷ ভোটপ্রাপ্তিও হত দৃষ্টান্তমূলক৷