কলকাতার বুকেই এবার বেলুড় মঠ দর্শন, উদ্যোগী পুরসভা
এবার কলকাতার বুকেই বেলুড় মঠ দর্শনের সুযোগ! সেটি অবশ্য আসল নয়। বেলুড় মঠের তুলনামূলক ছোটখাট একটা সংস্করণ। দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জে সেটি তৈরি হচ্ছে। কলকাতা পুরসভার উদ্যান বিভাগ সাজিয়ে তুলছে বালিগঞ্জ ফাঁড়ি পার্ক। অনতিদূরে গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশন। স্বামীজির সেই ভাবাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে পার্কের খালি জায়গায় করা হচ্ছে সেই বেলুড় মঠের একটি সংস্করণ। পাশাপাশি পার্কের একধারে বেশি মাত্রায় অক্সিজেন সরবরাহকারী গাছের বিশেষ জোন বানানোরও পরিকল্পনা রয়েছে।
পার্কের শেষপ্রান্তে গড়ে উঠছে সেটি। বর্তমানে প্রাথমিক কাঠামো হিসেবে ইট-বালি-সিমেন্টের প্লাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। বাকি কাজ চলছে শিল্পী মিন্টু পালের গ্যালারিতে। পুরসভা সূত্রে খবর, খরচ হচ্ছে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। ওই পার্কে একটি কালীপুজো হয়। তাই কালীপুজোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিছু একটি তৈরি করে সাজিয়ে তোলার অনুরোধ ছিল এলাকাবাসীর। সেই অনুরোধকে মান্যতা দিয়ে এই বেলুড় মঠের সংস্করণ বানানো হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন ৬৮ নং ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়।
কালীপুজোর সঙ্গে রামকৃষ্ণের সম্পর্ক, আবার রামকৃষ্ণের সঙ্গে বেলুড় মঠের যোগসূত্র রয়েছে। তাই এই পার্কে প্রায় তিনতলা বাড়ির সমান বেলুড় মঠের রেপ্লিকা বানানো হচ্ছে। তার সামনেই পুজো চলবে। ফাইবারের বেলুড় মঠ তৈরি করা হচ্ছে। এখন জায়গাটিকে রেলিং দিয়ে ঘিরে দেওয়ার কাজ চলছে। পাশাপাশি আলোকসজ্জায় সাজিয়ে তোলা হবে এই বিকল্প বেলুড় মঠ। তবে, শুধু বেলুড় মঠ নয়। পার্কের অপর ধারে বসানো হবে বিশেষ গাছ। মূলত বড় পাতার কিছু গাছ, যা তুলনামূলকভাবে অতিরিক্ত মাত্রায় অক্সিজেন সরবরাহ করে, তেমন গাছের পৃথক জোন বানানো হবে। পার্কে আগত মানুষের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই সেটা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সুদর্শনা।