ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার আক্রমণের বর্ষপূর্তিতে মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ তালিবানদের?
আফগানিস্তানে (Afghanistan) সরকার ঘোষণা করে দিয়েছে তালিবান (Taliban)। কিন্তু এখনও মন্ত্রীদের শপথগ্রহণ পর্ব বাকি রয়েছে। শোনা যাচ্ছে, ১১ সেপ্টেম্বরই হয়তো শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হতে পারে। ইতিহাসের পাতায় ১১ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ ৯/১১ (9/11) কতটা কুখ্যাত, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই দিনকে স্মরণে রেখেই আমেরিকাকে অস্বস্তিতে ফেলতেই তালিবান এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আজ থেকে কুড়ি বছর আগে আমেরিকার উপরে আল কায়দার হামলায় শিউরে উঠেছিল গোটা বিশ্ব। সেই হামলার মূল চক্রী ওসামা বিন লাদেন (Osama Bin Laden) সেই সময় ছিল আফগানিস্তানে। তাই হামলার জবাবে সেদেশেই হানা দিয়েছিল মার্কিন সেনা। আমেরিকার সেই আক্রমণেই কার্যত আফগান মুলুকে ক্ষমতা হারায় তালিবান। এতদিন পরে ক্ষমতা ফিরে পেয়ে তাই সেই দিনেই শপথগ্রহণ করে আমেরিকাকে খোঁচা দেওয়াই জেহাদিদের উদ্দেশ্য বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে, ওই দিনেই শপথ নিয়ে গোটা বিশ্বকেই কি জেহাদের বার্তা দিতে চাইছে তারা? তবে এখনও এব্যাপারে তালিবানের তরফে কোনও সরকারি ঘোষণা হয়নি।
এদিকে মার্কিন সেনা সরে যাওয়ার পর আফগানিস্তানে তালিবানের প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে বারবার বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে। যদিও বাইডেন কোনও দায়স্বীকার না করে পালটা প্রশ্ন তুলেছেন, ”আফগান সেনা কেন তালিবানের হাত থেকে নিজেদের দেশকে রক্ষা করতে পারল না?”
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য চিন, তুরস্ক, ইরান, পাকিস্তান, কাতার, আমেরিকার পাশাপাশি ভারতকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছে তালিবান। তালিবানের মুখপাত্রের কথায়, ”আফগানিস্থানে শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফেরাতে বিনিয়োগ দরকার। আমরা চিন-সহ আমাদের পড়শিদের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক রাখতে চাই।” যুদ্ধের শেষে আফগানিস্তানে শান্তি ফেরানোর বুলি আওড়ালেও এখনও পর্যন্ত বিশ্বের বেশির ভাগই দেশই তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দিতে সংশয়াচ্ছন্ন। উল্লেখ্য, ক্ষমতায় আসার পরে তালিবান জানিয়েছিল, তারা বদলে গিয়েছে। কিন্তু ক্রমেই দেখা গিয়েছে মেয়েদের উপরে ফতোয়া জারি হোক কিংবা সাধারণ মানুষকে আতঙ্কে রাখার প্রক্রিয়াতেই হোক, তালিবান আছে তালিবানেই। ফলে উদ্বেগ বাড়ছে বিশ্বের শুভাকাঙ্ক্ষী মানুষদের।