উপ ও বকেয়া নির্বাচনে পাশে থাকছে না আব্বাস, ঠুঁটো জগন্নাথ বাম জোট
উপনির্বাচনের প্রচারে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। কিন্তু সেই আমন্ত্রণ পেয়েও নিমন্ত্রণ রক্ষা করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভাইজানের দল। সেক্ষেত্রে প্রচারে তাঁদের একা থাকতে হবে বলেই খবর। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর সামশেরগঞ্জ, জঙ্গিপুর কেন্দ্রে বকেয়া নির্বাচন এবং ভবানীপুরে বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস ভবানীপুরে প্রার্থী দেয়নি। এমনকী তাঁরা প্রচারেও থাকবেন না বলে মোটামুটি স্থির হয়ে গিয়েছে। তাই আইএসএফ–কে সঙ্গী করতে চেয়েছিল বামেরা। কিন্তু তারাও তিন কেন্দ্রেই প্রচার থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
কেন এই সিদ্ধান্ত নিল ভাইজানের দল? জানা গিয়েছে, একুশের নির্বাচনে সংযুক্ত মোর্চার ব্যানারে লড়াই হলেও কংগ্রেস তখনই জানিয়েছিল আইএসএফের সঙ্গে তাদের সমঝোতা হয়নি। বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকও নির্বাচনী বিপর্যয়ের জন্য আইএসএফের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে। নির্বাচনের পর সিপিআইএমও যৌথ কর্মসূচি নেয়নি। এভাবে অপমানিত হওয়ার পর আইএসএফের রাজ্য নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁরা তিন কেন্দ্রের কোথাও প্রচারে যাবেন না।
এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই সিপিআইএমের মাথায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। কারণ ফল যদি ৩–০ হয় তাহলে মুখ লুকানোর জায়গা থাকবে না। আর এবার দু’জায়গায় সিপিআইএম প্রার্থী। আর এক জায়গায় আরএসপি প্রার্থী। তাই বাড়তি কোনও চাপ নিতে চাইছে না আইএসএফ। তাই তাঁদের শক্তি কত সেটা এই উপনির্বাচনে বোঝা হয়ে যাবে। তখন আর সবক্ষেত্রে আইএসএফ–কে দোষারোপ করতে পারবে না বামেরা। এই ছকেই নিজেদের গুটিয়ে রাখছে ভাইজানের দল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।