নবান্ন থেকে ফেরার পথেই ভোটের প্রচারে নামলেন মমতা
মাস শেষেই ভবানীপুরে উপনির্বাচন। কোভিড পরিস্থিতিতে বড় জনসভা বাতিল হয়েছে। বদলে ছোট ছোট স্ট্রিট কর্নার এবং বাড়ি-বাড়ি গিয়ে জনসংযোগে জোর দিচ্ছে তৃণমূল। এবার পথে নেমে জনসংযোগ সারলেন খোদ তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কুশল সংবাদ নিলেন সকলের।
সোমবার নবান্ন থেকে ফেরার পথে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডে হাজির হন মমতা। সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। সেখানে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে অনেকের সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূল নেত্রী। সকলের কুশল সংবাদ নেন তিনি। অনেকের হাত ধরে কুশল বিনিময়ও করেন। এদিন তিনি আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন কেন ‘ভবানীপুরের ঘরের মেয়ে’ তিনিই।
৭৭ নম্বর ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে মমতা শুরু করেন জনসংযোগ। সকলের সঙ্গে ঘরোয়া আড্ডা চলে বেশ কিছুক্ষণ। খিদিরপুরের ২৫-এর পল্লি দুর্গা পুজোর পাড়া থেকে ১৬ আনা মসজিদ হেঁটে ঘুরে বেড়ান তিনি। কথা বলেন সকলের সঙ্গে। এলাকাবাসীর সঙ্গে বসে আড্ডার ছলে কথা বলেন তিনি। ১৬ আনা মসজিদে ইমামদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ সারেন তিনি।
আট ওয়ার্ডের দায়িত্ব ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে দলের হেভিওয়েট পাঁচ নেতার হাতে। ঠিক হয়েছে নিয়ম করে সকালের দিকে ভবানীপুরের পাড়া ঘুরবেন তাঁরা। ঠিক যেমন শনিবার বেরিয়েছিলেন এলাকার বাসিন্দা পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। এলাকার মহিলাদের দায়িত্ব বিকেলের দিকে। পাঁচজন করে একটি দলে ভাগ হয়ে তারাও যাবেন বাড়ি-বাড়ি।
দরকারে বাড়ি বসে চলবে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা। ঘরের উঠোনে বসে প্রচারের এই বৈঠকি আমেজ তৈরির জন্যই এলাকার মেয়েদের কথা ভাবা হয়েছে। কোন পরিবারের কার কী সমস্যা, কে কোন পরিষেবা পাননি– তার সবটাই বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেওয়া হবে। তার সঙ্গে বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায় তৈরি হয়েছে লিফলেট। এলাকার নানা ভাষাভাষী মানুষের কথা ভেবেই তা তৈরি হয়েছে। কবে কোন এলাকায় যাওয়া হবে, কোন এলাকায় বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হবে, তা প্রতিদিন বসে ছকে নেওয়া হচ্ছে। প্রতি মুহূর্তে কমিশনের নির্দেশের দিকে খুঁটিনাটি নজর রাখা হচ্ছে। দলের তরফ থেকে এটিই প্রাথমিক প্রচার পরিকল্পনা তৃণমূলের।