তালিবানের মদতদাতা পাকিস্তান: মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কন
এতদিন তালিবানকে পাক মদতের অভিযোগ করে আসছিলেন নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের নেতা মাসুদ। এবার সেই একই অভিযোগ করল আমেরিকা। মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন মঙ্গলবার বলেন, তালিবানকে দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের দেশে আশ্রয় দিয়ে এসেছে পাকিস্তান।
আগামী সপ্তাহেই আফগানিস্তান নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে আমেরিকা। তার আগে তালিবানকে মদত দেওয়া নিয়ে মুখ খুললেন সেদেশের বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সোমবার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির কাছে তিনি জানালেন, আফগানিস্তান নিয়ে পাকিস্তানের নানবিধ স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে, যার মধ্যে অনেকগুলি আমাদের পরিপন্থী। এরপরেই তালিবানকে মদত দেওয়া নিয়ে ইসলামাবাদকে একহাত নেন ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেন, তালিবানকে নিজেদের দেশে দীর্ঘদিন আশ্রয় দিয়ে এসেছে পাকিস্তান।
সম্প্রতি তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, মার্কিন সেনার নাকের ডগাতেই আফগানিস্তানের রাজধানীতে তিনি কাটিয়েছেন। চোখে ধুলো দিয়ে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যেতে পারতেন। তাই মার্কিন সেনা তাঁকে ভূত বলে মনে করত। তালিবানের এমন হাই প্রোফাইল নেতার উপর কোনও রাষ্ট্রক্ষমতার হাত না থাকলে এমন কাজ করা সম্ভব ছিল না বলেই মনে করছে কূটনীতি মহল। আর সেই দেশটি যে পাকিস্তান, তা ঠারেঠোরে স্পষ্ট করেছেন অনেকেই। এমনকী পঞ্জশিরের প্রতিরোধ বাহিনীর নেতা মাসুদ অভিযোগ করেছেন, তারা তালিবানের বিরুদ্ধে লড়ছেন না। লড়াই হচ্ছে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে। পঞ্জশিরের লড়ইয়ে পাকিস্তানের বিমান ও ড্রোনের দেখাও মিলেছে। এই অবস্থায় এদিন তালিবানকে সরাসরি পাকিস্তান মদত দিচ্ছে বলে অভিযোগ করল আমেরিকা। গত মাসে মার্কিন সমর্থিত আফগান সরকার ভেঙে পড়ার পর সংশ্লিষ্ট ইস্যু নিয়ে এই প্রথম মুখ খোলেন ব্লিঙ্কেন। আফগানিস্তান নিয়ে পাকিস্তানের বহুমুখী স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ক্ষতি জেনেও আফগানিস্তানের ভবিষ্যত নিয়ে বাজি ধরে তারা। তালিবানকে নিজের দেশে আশ্রয় দেয়। জঙ্গিদমন অভিযানে সহযোগিতার বদলে তারা ভিন্নমত পোষণ করে। এরপরেই ব্লিঙ্কেনকে প্রশ্ন করা হয়, তাহলে কি পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের পুনর্মূল্যায়ন করার এটাই সঠিক সময়? জবাবে বিদেশ সচিব বলেন, সরকার শীঘ্রই সেকাজ করবে।