আফানিস্তান দখলের কৃতিত্ব নিয়ে তালিবানের অন্তর্দ্বন্দ্ব
সবে মাত্র ক’দিন আগেই ঘোষিত হয়েছে আফগানিস্তানের নতুন তালিবান সরকার। এর মধ্যেই জেহাদিদের মধ্যে ক্ষমতা নিয়ে শুরু হয়ে গেল কোন্দল। কয়েক দিন আগেই শোনা গিয়েছিল তালিবানের যুগ্ম প্রতিষ্ঠাতা ও উপপ্রধানমন্ত্রী মোল্লা বরাদর নাকি মারা গিয়েছে। যদিও পরে সেই জল্পনা উড়িয়ে তালিবানের তরফে পরিষ্কার করে দেওয়া হয় বহাল তবিয়তেই আছেন মোল্লা বরাদর। জানা যাচ্ছে, তার অন্তর্ধানের পিছনেই রয়েছে ওই কোন্দলের রহস্য।
ঠিক কী নিয়ে শুরু বিতণ্ডা? আসলে এর পিছনে রয়েছে শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে কে আফগানিস্তান পুনর্দখলের প্রধান কারিগর তা নিয়ে বিতর্ক। মূল লড়াইটা দু’জনের মধ্যে। একজন মোল্লা বরাদর। অন্যজন হাক্কানি নেটওয়ার্কের শীর্ষনেতা ও নতুন সরকারের অন্যতম মন্ত্রী খালিল উর-রহমান হাক্কানি। ‘বিবিসি পাস্তো’র এক সূত্রের দাবি, তালিবানের ক্ষমতা দখলের প্রধান দাবিদার এই দু’জন। আর এর ফলেই শুরু সংঘর্ষ। এবং তা একেবারে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদেই। সেখানেই তুমুল সংঘর্ষ বেঁধে যায় দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে।
মোল্লা বরাদরের দাবি, তার মতো কূটনীতিবিদের কারণেই তালিবানের আফগানিস্তান দখল সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে হাক্কানি নেটওয়ার্কের দাবি, লড়াই করেই তারা ছিনিয়ে এনেছে ক্ষমতা। যদিও তালিবানের তরফে এই ধরনের দাবিকে অস্বীকার করা হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, শিগগিরি ফের কাবুলে ফিরবে মোল্লা বরাদর। তারপরই হয়তো ক্যামেরার সামনে উপস্থিত হয়ে সংঘর্ষের বিষয়টিতে অস্বীকার করবে সে। উল্লেখ্য, মোল্লা বরাদর তার মৃত্যু ঘিরে তৈরি হওয়া গুজবকে অস্বীকার করে সংবাদমাধ্যমকে দায়ী করেছিল এই ধরনের গুজব তৈরি করার জন্য।
প্রসঙ্গত, গত আগস্টেই আফগানিস্তান দখল করে তালিবান। দু’দশক পরে ফের অন্ধকার যুগ শুরু হয়ে যায় সেদেশে। তালিবানের শাসনে ঘোর অনিশ্চিয়তার মুখে পড়তে হয়েছে আফগান নাগরিকদের। আগামী দিনে দেশের অর্থনৈতিক পরিকাঠামো পুরোপুরি ভেঙে পড়বে কিনা সেই আশঙ্কা তালিবানের প্রত্যাবর্তনের পর থেকেই ছিল। যত সময় এগিয়েছে ততই কঠিন হয়েছে পরিস্থিতি।