রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

জয়নগরের মোয়া এবার খামেও, প্রকাশ করল ডাক বিভাগ

September 16, 2021 | 2 min read

 জিআই তকমা মেলায় আগেই দেশজোড়া সুনামের অধিকারী হয়েছিল জয়নগরের মোয়া। নতুন করে এই সুস্বাদু মোয়ার গরিমা আরও বাড়ল। শীতের মরশুম শুরু হওয়ার বেশ কিছুটা আগেই ভারতীয় ডাক বিভাগের সাউথ প্রেসিডেন্সি শাখা জয়নগরের মোয়ার ছবি দেওয়া বিশেষ খাম প্রকাশ করল। বুধবার বারুইপুর মুখ্য ডাকঘরে এই খামের উন্মোচন করেন সাউথ প্রেসিডেন্সি শাখার পোস্টমাস্টার জেনারেল নীরজ কুমার। উপস্থিত ছিলেন জেনারেল ম্যানেজার ডঃ শিখা মাথুর কুমার, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ বিভাগের অধ্যাপক প্রশান্ত বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীন অ্যাপেডার আঞ্চলিক অধিকর্তা সন্দীপ সাহা প্রমুখ। নীরজ কুমার বলেন, দেশ-বিদেশের খাদ্যরসিকদের কাছে  জয়নগরের মোয়াকে হাজির করতেই ডাকবিভাগের এই উদ্যোগ।    এর আগে জয়নগরের উপ-ডাকঘরের উদ্যোগে পোস্ট পার্সেলের মাধ্যমে চেন্নাই ও মুম্বই শহরে পাড়ি দিয়েছে জয়নগরের মোয়া।          


ডাক বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিশেষ খাম পৌঁছে যাবে কলকাতা ও দিল্লির মুখ্য ডাকঘরে। দিল্লিতে ইতিমধ্যেই ৫০০টি খাম পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া কলকাতা সহ দেশের অন্যান্য মুখ্য ডাকঘরের ফিলাটেলিক মিউজিয়ামে (ডাকটিকিট সংক্রান্ত সংগ্রহশালা) তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগ্রহী সংগ্রাহকরা সহজেই তা সংগ্রহ করতে পারবেন এসব জায়গা থেকে। এই খামে মোয়ার ছবির পাশাপাশি রয়েছে জিআই চিহ্ন এবং মোয়া প্রস্তুতকারক সোসাইটির নাম। বারুইপুর মুখ্য ডাকঘরের এক অধিকর্তা বলেন, এই খামের দাম ২৫ টাকা ধার্য করা হয়েছে। স্ট্যাম্পবিহীন খামের দাম ২০টাকা। প্রথম দিনেই প্রায় ২৫টি খাম বিক্রিও করে ফেলেছে ডাকবিভাগ। পরবর্তীকালে বিদেশেও পাঠানো হবে এই খাম।


দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় মোয়াশিল্পের বিস্তার হয়েছে মূলত জয়নগর ও বহড়ু এলাকায়। বিদেশে বসবাসকারী বাঙালিদের হাত ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে মোয়া ঢুকে পড়ে বছর চারেক আগেই। এখন রপ্তানি বাড়ছে বছর বছর। কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রকের অধীন অ্যাপেডা সংস্থাও চাইছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই মিষ্টির সুসংহত রপ্তানি হোক। সংস্থার আঞ্চলিক অধিকর্তা সন্দীপ সাহা বলেন, অনেক বছর চেষ্টার পর চলতি সনেই প্রথম বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছে জয়নগরের মোয়া। 
এই উদ্যোগে ডাকবিভাগও এগিয়ে এসেছে। ব্যবসায়ীদের আশা, এসব পদক্ষেপের পর বাইরের বরাত আরও বেশি আসবে। তিনি আরও বলেন, চলতি বছরে বাহরিনে ৫০০ কেজি মোয়া পাঠাতে পেরেছিলাম। সামনের মরসুমে দু’হাজার কেজি মোয়া মালয়েশিয়া, কানাডাতে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।    

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#joynagar moya, #special envelope, #indian postal service

আরো দেখুন