অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর নাম ভুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচিত বাইডেন
অতিথির নাম ভুলে লজ্জায় নিমন্ত্রণকর্তা! আর তা নিয়ে সমানে মশকরা চলল সোশ্যাল মিডিয়ায়। হবে নাই বা কেন? হাই প্রোফাইল অতিথির নাম যে স্কট মরিসন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী। আর নিমন্ত্রণকর্তা? স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বৃহস্পতিবারই মার্কিন নেতৃত্বাধীন প্রতিরক্ষা জোটে শামিল হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
এদিনই অস্ট্রেলিয়াকে ডুবোজাহাজ দেওয়া নিয়ে একটি চুক্তি সেরেছে আমেরিকা। বৃহস্পতিবার টেলিভাইসড সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। এই বৈঠকের আহ্বান করেছিলেন বাইডেন। ধন্যবাদ জানিয়ে বরিসের নাম বললেও মরিসনের নাম বলতে পারেননি তিনি।
ক্যাঙারুর দেশকে ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সবকিছু ঘেঁটে ফেলেন। বারবার তিনি মরিসনের নাম নিতে যান। কিন্তু কোনওবারই মরিসনের নাম মুখে আনতে পারেননি। কখনও বলেন ‘ফেলো ডাউন আন্ডার’। কখনও মার্কিন সম্ভাষণের ঢঙে বলে ওঠেন ‘পল’। অনেক চেষ্টার পরে অবশেষে মরিসনের নাম মনে করতে পারেন বাইডেন। বুড়ো আঙুল তুলে তাকে স্বাগতও জানান মরিসন। কিন্তু ততক্ষণে বড্ড দেরি হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমে। সিডনি মর্নিং হেরাল্ড জানিয়েছে, ‘শুরুটা ঠিক হল না। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মরিসনের নাম ভুলে গেলেন বাইডেন! ক্ষমতার পরিমণ্ডলে অস্ট্রেলিয়া যে ছোট ভাই রয়ে গিয়েছে, এই ঘটনা তারই প্রমাণ।’ তবে সিডনির ডেইলি টেলিগ্রাফ জানিয়েছেন, ‘এই অসতর্ক মুহূর্ত কখনই প্রতিরক্ষা চুক্তির গুরুত্বকে ছাপিয়ে যায়নি। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের উত্থান রুখতে এই চুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম।’ আর এই প্রতিরক্ষা চুক্তি ঘিরে ফ্রান্স এবং আমেরিকার মধ্যে সম্পর্কের আরও অবনতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ট্রাম্পের আমল থেকেই ফ্রান্সের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক ভালো নয়। এবার সেই সম্পর্ক তলানিতে এসে পৌঁছবে বলে অাশঙ্কা।