তৃতীয়বারের জন্য কানাডায় ক্ষমতায় ফিরছে জাস্টিন ট্রুডোর দল
করোনা দমনে নিয়েছিলেন বড় ভূমিকা। সেই সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাও ঢেলে সাজানো হয়েছে তার আমলেই। এছাড়াও জনহিতে হয়েছে একাধিক চমকপ্রদ প্রকল্প। আর তাতে ভর করেই ফের কানাডায় (Canada) ফের সরকার গঠনের পথে জাস্টিন ট্রুডোর (Justin Trudeau) লিবারাল পার্টি। তবে যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ঝাঁপিয়েছিল ট্রুডোর দল তা এখনও মেলেনি। ম্যাজিক ফিগার ১৭০-র বদল আপাতত ১৫৬ টি আসনে এগিয়ে আছে লিবারেলরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রায় ছয় বছরের মাথায় দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচন (সংসদ নির্বাচন) হচ্ছে কানাডায়। কানাডার জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ “হাউস অফ কমন্স” এর নির্বাচন নিয়ে চাপা উত্তেজনা বাড়ছিল গত কয়েক মাস ধরেই। এদিকে শেষ নির্বাচনে ১৫৭টি আসন নিয়ে সরকার গঠন করেছিল লিবারেলরা। কিন্তু সেবারই মেলেনি সংখ্যাগরিষ্ঠতা। যদিও ট্রুডোর মেয়াদ এখনও শেষ হয়নি।
এদিকে সব বিরোধী দল একত্রিত হয়ে সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টাও করেনি। তাই সহজ ভাবে বলতে গেলে এখনও চাইলে ক্ষমতায় থাকতেই পারতেন ট্রুডো। কিন্তু তাঁর দাবি ছিল যেহেতু জনমত তাঁর দিকেই ছিল তাই নির্বাচনী পদ্ধতিতে হেঁটেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা আনবে তাঁর দল। অবশ্য নির্বাচন ঘোষণার সময় সমস্ত জনমত সমীক্ষাই সেরকমই আভাসই দিচ্ছিলl এদিকে এর আগে ২০১৫ সালে সংসদ নির্বাচনে লিবারেল পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন নিয়ে ক্ষমতায় বসেছিল।
এদিকে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনের পর মঙ্গলবার সকাল থেকেই জোরদকমে চলছে ভোটগণনা। আর তাতেই বিপক্ষ কনজারভেটিভ দল অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। এমতাবস্থায় পরিস্থিতি যা, তাতে তৃতীয়বার জাস্টিন ট্রুডোই প্রধানমন্ত্রীর মসনদে বসছেন তা আর নতুন করে বলে দিতে হয় না। এখনও পর্যন্ত পাওয়া হিসাব বলছে কানাডার নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কক্ষ তথা হাউন্স অফ কমন্সে (ভারতের লোকসভার মতো) ৩৩৮ টি আসনের মধ্যে ১৫৫ টিতে এগিয়ে আছে শাসক দল লিবারেল।
অন্যদিকে প্রতিবারে মতোই কানাডার নির্বাচন হল চিরাচরিত শান্ত ভঙ্গিতেও। এমনকী প্রচারেও দেখা যায়নি বিশেষ ছটা। নেই কোনো মিছিল, নেই কোনও জোরালো জনসংযোগ কর্মসূচিl এমনকী নির্বাচনের দিন সরকারি ছুটিও ছিলl সাধারণ ভোট পদ্ধতি ছাড়াও গত সপ্তাহে প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ আগাম ভোট দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়াও পোস্টাল ব্যালটেও ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।