রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

অসময়ে বৃষ্টিতে বিপুল ক্ষতি, পুজোয় ফুলের জোগান নিয়ে দুশ্চিন্তা

September 22, 2021 | < 1 min read

প্রবল বৃষ্টি সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফুলচাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফুলের ক্ষতি হয়েছে। জল জমে গিয়েছে গাছের গোড়াতেও। সব মিলিয়ে মাথায় হাত চাষি এবং ব্যবসায়ীদের। সামনেই দুর্গাপুজো। পুজোর দিনগুলিতে বাজারে ফুলের জোগান কতটা থাকবে এবং অর্ডার মতো ফুল কীভাবে মণ্ডপে পৌঁছবে সেই চিন্তায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। বাজারে ফুলের জোগান না থাকলে আকাশ ছুঁতে পারে ফুলের দাম। ক্ষতিপূরণের দাবিতে ক্ষতিগ্রস্ত ফুলচাষিদের তরফে উদ্যানপালন দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে।

হাওড়ায় বাগনান-২ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় এবং বাগনান-১ ব্লকেরও একাংশে ফুলচাষ হয়। মরশুমি ফুল থেকে সারাবছর বিভিন্ন ধরনের ফুলচাষ হয়। পাশাপাশি ফুলচারাও বিক্রি হয়। এইভাবে কয়েক হাজার চাষির জীবিকা নির্বাহ হয় এইসব এলাকায়। কিন্তু গতবছর থেকে তাঁদের জীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। এজন্য দায়ী করোনার পাশাপাশি একাধিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়।  ফুলের দাম প্রচণ্ড চড়ে গিয়েছিল জন্মাষ্টমীতে এবং বিশ্বকর্মা পুজোয়। দুর্গাপুজোতেও ব্যতিক্রম কিছু হওয়ার আশা করছেন না কেউ। 

বাকুড়দহের ফুলচাষি পুলক ধারা বলেন, যেভাবে একটানা বৃষ্টি হয়েছে তাতে গাঁদা, দোপাটি, পদ্ম প্রভৃতি অধিকাংশ ফুলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পুজোর সময় দাম নির্ভর করবে জোগানের উপর। অন্যদিকে, ফুল ব্যবসায়ী নির্মল মেথুর বলেন, এবার যেভাবে ফুল নষ্ট হয়েছে তাতে পুজোর দিনগুলিতে জোগান নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকছেই। পুজোর উদোক্তাদের মতে, যেভাবে ফুলের দাম বাড়ছে তাতে কম ফুল দিয়েই এবারে পুজো সারতে বাধ্য হবেন সবাই। সারা বাংলা ফুলচাষি ও ফুলব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র নায়েক বলেন, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা প্রভৃতি অনেক জায়গায় ফুলচাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শীতের মরশুম নতুন করে চাষের জন্য সরকারি সাহায্যের প্রয়োজন। তাই বিভাগীয় মন্ত্রীর কাছে এই বিষয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#flowers

আরো দেখুন